রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চলতি বছরে চতুর্থ দফায় তিস্তায় পানি বাড়ছে। নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ৯টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবারই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডিলয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ডিমলা, জলঢাকা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ডিমলার বাইশ পুকুর এলাকার দেড় হাজার পরিবার। পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) আমিনুর রশিদ জানান, ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে।
এদিকে, ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখায় ভাটি এলাকার খালিশা চাঁপানীসহ চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন মুঠোফোনে জানান, টানা বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আবার অনেকেই বাড়িঘর নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে।
তিস্তার বন্যায় জেলার ডিমলা উপজেলার পুর্ব ছাতনাই, খগাখাড়বাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ীসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সাড়ে তিন হাজার বাড়িতে পানি ঢুকেছে। এছাড়াও জেলার জলঢাকার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় ১০টি চর ও চর গ্রামের দুই হাজারের মতো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বৃহস্পতিবার ওই পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। তিনি আরো বলেন, বন্যার পানি সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪ টি গেট খুলে রাখা হয়েছে।