1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
হিন্দু কর্মকর্তারা "র" এজেন্টের লোক, বললেন পশ্চিম রেলের এ.ও বেলাল - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ঢাকা দ‌ক্ষিন সি‌টি ক‌লোনী‌তে  প্রথম বা‌রের মত উদযাপিত হলো হ‌রিজনবাসীর বিদ‌্যা দে‌বির পুজা  বোয়ালমারীতে গরু চুরি করতে গিয়ে ৮ গরু চোর কারাঘরে সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্র অঞ্চলের  ধান চাষীরা কম্বিং অপারেশনে ১০লখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ মহাদেবপুরে অসহায় দু:স্থদের মাঝে ছাগল বিতরণ করলেন জামায়াত ইসলাম  নিয়ামতপুরে সহকারী কমিশনারের বাসা লক্ষ্য করে গুলি ধামইরহাটে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাবা মায়ের কবরের পাশে শায়িত: বগুড়া-৩ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মোমিন তালুকদারের দাফন সম্পন্ন ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বাংলাদেশ স্কাউটস, ভেড়ামারা উপজেলা ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল ২০২৫

হিন্দু কর্মকর্তারা “র” এজেন্টের লোক, বললেন পশ্চিম রেলের এ.ও বেলাল

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩

রাজশাহী ব্যুরোঃ কোনভাবেই থামছে না পশ্চিমাঞ্চল রেলের সরাঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের অনিয়ম দুর্নীতি। নিজেকে দায়মুক্ত করতে হিন্দু অফিসারদের ভারতের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা “রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং ‘র’ এজেন্ট” এর লোক বলে আখ্যায়িত করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে’র সরাঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ বেলাল উদ্দিন। তবে ঐ ব্যক্তির সাথে রেলওয়ে দপ্তরের বিভিন্ন গোপন বিষয় ও সংবাদ প্রকাশের বিষয় কথা বলতে দেখে যাচ্ছে।

এর আগে সাবেক সিওএস বেলাল সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর তাকে বদলি করা হলেও বর্তমান সিওএস রাসেদুল ইবনে আকবরও দূর্নীতি’র বাহিরে থাকতে পারছে না। গত ছয় মাস হলো ঐ পদে অধিষ্ঠিত হন এসএম রাসেদুল ইবনে আকবর। যোগদানের ৬ মাসে ইতোমধ্যে গড়েছেন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে করছেন কেনাকাটা। দপ্তরটিতে প্রতিটি কাজে ঠিকাদারকে গুণতে হয় মোটা অংকের উৎকোচ। এলটিএম এর মাধ্যমে পছন্দের ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করানো হয়। দপ্তরটির বিরুদ্ধে কাজ না করে ভুয়া বিল উত্তোলনের অভিযোগও রয়েছে। কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহায়ক সানোয়ার হোসেন ইতোমধ্যে একটি ভুয়া বিল উত্তোলন করে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বজনপ্রীতি’র মাধ্যমে মনমত ঠিকাদারকে কাজ প্রদানসহ ৬ মাসে প্রতিটি কাজে নিয়েছেন মোটা অংকের কমিশন।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা বলেন, যোগদানের পর থেকে বাজেট নাই মর্মে সল্পতা গল্পে কমিশনে তার পছন্দের ঠিকাদারকে এলটিএম এর মাধ্যমে কাজ দিচ্ছেন। নিম্নমানের মালামাল ক্রয় করে মোটা অংকের কমিশন নেওয়া হচ্ছে।
কেনাকাটার অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে দূদক আবারও তদন্ত শুরু করেছেন। কেনাকাটার বিষয়ে দুদক রাজশাহী রেল মেডিকেলে ঝটিকা অভিযান পরিচালনাও করেছেন। তবুও কোনোভাবে যেন থামছে না সিওএস এর কেনাকাটার অনিয়ম দুর্নীতি।
বাজেট নাই মর্মে মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েও গোপনে এখনো কাজ করছেন বর্তমান ( সিওএস) রাসেদুল ইবনে আকবর।
দপ্তরটির ব্যপক অনিয়ম ও দূর্নীতি ঠেকাতে প্রতিমাসে সাংবাদিকদের জন্য মোটা অংকের অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। সেই বরাদ্দ তালিকা করে স্বাক্ষর নিয়ে কতিপয় অসাধু সাংবাদিকের মাঝে বন্টন করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন। দপ্তরের এও বেলাল অফিসের গোপন নথিপত্র বিভিন্ন জনকে দিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। রেল মেডিকেলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি ইতিমধ্যে বিভিন্ন জনকে টাকার বিনিময়ে দিয়েছেন বেলাল। যার তথ্য প্রমান সংরক্ষিত। অফিসারদের বেকায়দায় ফেলতে ও নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে এও বেলাল এমনটা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রেলওয়ে মেডিকেলের কেনাকাটার কাজে ব্যপক অনিয়ম হয়েছে বলে সেই কাগজও বিক্রি করেন মোটা অংকের টাকায়। এমন তথ্যও সংরক্ষিত রয়েছে। সাংবাদিকের সাথে (ম্যাসেঞ্জারে) কথার প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন রেলওয়ে দপ্তরে কর্মরত হিন্দু অফিসাররা ভারতের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা “রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইং ‘র’ এজেন্ট” এর লোক। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি কাউকে এধরনের কথা বলিনি। যদি আপনার কাছে প্রমান থাকে তাহলে আপনার যা ইচ্ছা করতে পারেন। আর অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে যেটা বললেন, সেটা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে কেউ অপ্রচার করছে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কেনা কাটায় প্রায় ৭ কোটি টাকার মালামাল ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তা ফলাও ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারী উক্ত অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পশ্চিম রেলওয়ে মেডিকেল ও জিএম দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এ বিষয়ে পশ্চিম রেলের সরাঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রধান এসএম রাসেদুল ইবনে আকবরকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানা যায়, রাজশাহী পশ্চিম রেলের সরাঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের যোগসাজশে রেল মেডিকেলের কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হলেও, তদন্ত শেষে ফাইল চলে যাচ্ছে হিমাগারে। প্রশ্ন উঠেছে, দুনীতির মাস্টার মাইন্ড ব্যক্তিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে কেন?
এ বিষয়ে কথা বলতে কমিটি’র প্রধান ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুনকে একাধিকবার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে’র জেনারেল (জিএম) অসীম কুমার তালুকদারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, উক্ত দপ্তরে কেনাকাটা খুব কম হচ্ছে। অতি জরুরি প্রয়োজনে কিছু এলটিএম করা হয়। তা আগের তুলনায় অনেক কম। তবে কেউ হিন্দু অফিসারদের ‘র’ এর এজেন্ট বলবে এটা কাম্য নয়। তিনি না বুঝে হয়তো এই কথা বলেছেন। উপরোক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানি না। এরকম অভিযোগ আসলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ