মোহাম্মদ আককাস আলী ঃ সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে হলুদ সাংবাদিকতা কঠোর হস্তে দমন করতে হবে এবং ওইসব হলুদ সাংবাদিকেরা নামে বেনামে সংগঠন তৈরি করে মাদক সেবি, ধর্ষণকারী, মামলার আসামী,রাষ্ট্র বিরোধী,দোকানদার এমনকি রিস্কাওয়ালাদের এই মহৎ পেশায় যুক্ত করে নষ্ট করছে প্রকৃত সাংবাদিকদের সুনাম। এখন ভয় সাংবাদিক পরিচয় দিতে। চোখ মেলে দেখলেই দেখা যায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা।
সত্য তুলে ধরাই সাংবাদিকদের কাজ। সেই সত্য সব সময় সবার কাছে প্রীতিকর না ও মনে হতে পারে। কেউ আবার ক্ষুব্ধ হতে পারেন। আবার সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকলে সাংবাদিকতা অর্থহীন হয়ে পড়বে। দেশের মানুষও তা আশা করে না। অথচ সত্য তথ্য তুলে ধরতে গিয়েই নির্যাতন-হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। আর সংবদ্ধ হয়ে ওইসব হলুদ সাংবাদিকেরা মদতদান করছে দুষ্ট মানুষগুলোকে।
সাংবাদিকদের ওপর দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতিবাজদের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। একজন সাংবাদিক তাঁর দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠাবান হলে সমাজের, প্রশাসনের কুর্ম ও জনস্বার্থ বিরোধী নানা অপকর্ম বের হয়ে আসে। সব ধরণের অন্যায়, অত্যাচার ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের খবর তুলে আনাই একজন প্রকৃত সাংবাদিকের কাজ। দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই একজন সাংবাদিক প্রকৃত তথ্য তুলে ধরেন। সাংবাদিক প্রকৃত তথ্য তুলে ধরলে তাতে অনেকেরই স্বার্থের হানি ঘটতে পারে। দুর্নীতিবাজচক্র সাংবাদিকের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করতে পারে। সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে নিজের অজান্তে একজন সাংবাদিক অনেকের শত্র“ হয়ে যেতে পারেন।
একজন সাংবাদিকের চলার ও কথা বলার অধিকার সাংবিধানিকভাবেই সুরক্ষিত। এই অধিকার কতটা সংরক্ষণ করা হচ্ছে আমাদের দেশে? সমাজের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ করতে অপরাধীদের টার্গেটে পরিণত হন সাংবাদিকরা। এরপর ওই স্বার্থবাদী গোষ্ঠী সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেওয়ার দায় রাষ্ট্রকে নিতে হবে। যেসব হত্যা বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। সৎ সাংবাদিকতা করার জন্য সারা দেশে আর একজন সাংবাদিকও হয়রানির শিকার হবেন না এটাই আমাদের প্রত্যাশা,সেই সাথে হলুদ সাংবাদিকদের প্রতিহত করতে দায়িত্বশীল
সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধের বিকল্প নেই।