1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
বাগমারায় লাইসেন্স বিহীন বিক্রয় হচ্ছে জ্বালানি তেল - dailynewsbangla
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ঢাকা দ‌ক্ষিন সি‌টি ক‌লোনী‌তে  প্রথম বা‌রের মত উদযাপিত হলো হ‌রিজনবাসীর বিদ‌্যা দে‌বির পুজা  বোয়ালমারীতে গরু চুরি করতে গিয়ে ৮ গরু চোর কারাঘরে সিন্ডিকেটের বেড়াজালে বন্দি বরেন্দ্র অঞ্চলের  ধান চাষীরা কম্বিং অপারেশনে ১০লখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ মহাদেবপুরে অসহায় দু:স্থদের মাঝে ছাগল বিতরণ করলেন জামায়াত ইসলাম  নিয়ামতপুরে সহকারী কমিশনারের বাসা লক্ষ্য করে গুলি ধামইরহাটে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাবা মায়ের কবরের পাশে শায়িত: বগুড়া-৩ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মোমিন তালুকদারের দাফন সম্পন্ন ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বাংলাদেশ স্কাউটস, ভেড়ামারা উপজেলা ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল ২০২৫

বাগমারায় লাইসেন্স বিহীন বিক্রয় হচ্ছে জ্বালানি তেল

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩

 রাজশাহী ব্যুরোঃ রাষ্ট্রীয় সম্পদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে জ্বালানি তেল। অথচ সেই তেল বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে, তাও আবার লাইসেন্স বিহীন। বিক্রির জন্য নেই কোন অনুমতিপত্র , মানা হচ্ছেনা সরকারের দেওয়া নিয়ম ও দর। পেট্রোলের দাম সরকারের দেওয়া ১২৫ টাকা দর হলে প্রতিযোগিতার বাজারে সেই তেল বিক্রি হচ্ছে ১২২ টাকা লিটার। যা রীতিমত অবাক করার মত। তাদের এমন দৃশ্য দেখে জনসাধারণের মনে এমনিতেই প্রশ্ন আসছে, তাহলে এই তেল কি চুরির পথে আসা, নাকি সরকার জনগণের সাথে ঠকবাজি করছে? নাকি পাম্প মালিকরা ঠকাচ্ছে? কারন একজন সাধারণ দোকানদার যদি ১২২ টাকা লিটার দিতে পারে তাহলে সরকার কেন পারেনি বা পারছে না? এমন দৃশ্য রাজশাহী বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ বাজারে। এই এলাকায় ব্যঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে নাম ও লাইসেন্স বিহীন তেল ডিপো। আবার কারো সামান্যতম কাগজপত্র রয়েছে অন্য স্থানের অর্থাৎ অন্য উপজেলা বাজারের। কিন্তু চতুরতার আশ্রয় নিয়ে এই মোহনগঞ্জ বাজারে এসে দিদার্সে হাজার হাজার তেল মজুত করে ব্যবসা করছেন তারা। এমন অভিযোগের খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে আগত সামসুলের দোকান। দোকানে কোন সাইনবোর্ড নেই, নেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র! দোকানের মালিক সামসুলের সাথে কথা বলে জানা গেল, এই দোকানের নাম “মেসার্স সামিহা এন্ড আতিয়া এন্টার প্রাইজ “। কিন্তু রশিদের গায়ে সত্বাধিকার বা মালিক হিসেবে নাম রয়েছে মোঃ আঃ সামাদ মোল্লার। জানতে চাইলে সমসুল বলেন, আমি আগে এই দোকানের ম্যানেজার ছিলাম, পরে আমি এই নামের লাইসেন্স কিনে নিয়েছি। কিন্তু এক স্থানের লাইসেন্স ব্যবহার করে অন্য স্থানে তো ব্যবসা করা যাইনা। আপনি কেন করছেন? তখন তিনি প্রতিবেদককে সাত পাঁচ বোঝাতে থাকেন। যা নিয়মের বাইরে। তবুও পুর্বের লাইসেন্স দেখতে চাইলে সামসুল বলছেন লাইসেন্স দোকানে নাই। মোবাইলের ছবিতে একটি লাইসেন্স দেখালেও সেটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই অর্থাৎ ২০১২ সালে। (দোকানটি শহর থেকে হাটকানপাড়া হয়ে বাজারে ঢুকতে শুরুতে পড়ব)। সেখান থেকে বেরিয়ে আরেক দোকানে ঢুকতেই দেখা মিললো, টিনের দোকান। সেখানেও দেখা মিললনা সাইনবোর্ড ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র! দোকান মালিকের নাম মোঃ বাচ্চু রানা। এই বাচ্চু দুর্গাপুর উপজেলার নন্দিগ্রাম গ্রামের আঃ সাত্তার মন্ডলের ছেলে। তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আগে পার্টনারশীপে ব্যবসা করতেন। বর্তমানে আলদা হয়ে ব্যবসা করছেন। তারও একই অবস্থা। কোন কাগজপত্র নেই। অথচ তার দোকানের রশিদে দুইটি দোকানের নাম রয়েছে এবং মালিক হিসেবে অন্য নাম রয়েছে। দোকানের নাম রয়েছে “মেসার্স বাচ্চু রানা ট্রেডার্স” ও মেনার্স সাহেদা ট্রেডার্স “। এই রশিদে বাজারের নামও দেখা যাচ্ছে অন্য স্থানের। এভাবে পুরো মোহনগঞ্জ বাজার যেন, লাইসেন্স বিহীন ডিপো’র কারখানায় পরিনত হয়েছে। এভাবে পুরো বাজার ঘুরে আরও অনেক দোকান চোখে পড়লো। যাদের কারো লাইসেন্স নাই। থাকলেও অন্য স্থান ও এলাকার। মোহনপুর উপজেলাধীন কুটিবাড়ি বাজার ও বাগমারার চিকাবাড়ি বাজারে রয়েছে অবৈধ তেল ডিপো। স্থানীয়দের অভিযোগ এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নজর পড়ছে না! কারন, গত ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ বিকেলে লিটন নামে এক ব্যক্তির তেলের ডিপো থেকে আগুন ধরেছিল। সেদিন এই বাজারে ২২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছিল।

এ সময় আহত হয়েছিলেন অন্তত ১৫ জন। তারপরও তারা এভাবেই ব্যবসা করছেন!! পরে ঐ এলাকার সচেতন মহলের সাথে কথা বললে তারা বলছেন, আমাদের ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের দিনগুলোর স্বরণ করলে, মনে পড়ে যায় জামায়াত শিবিরের জ্বালাও পোড়াও তান্ডবের কথা। সেসময় এরকম খোলা দোকান থেকে পেট্রোল, অকটেন নিয়ে তারা আগুনের রাজত্ব করেছিল। তারপরও প্রশাসন এধরনের দোকানের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে না। এ বছর নির্বাচনের বছর। তাই আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসন সজাগ থাকলেও এই সকল লাইসেন্স বিহীন তেল ডিপোর ব্যাপারে কেন এত উদাসিন, তা বোধগম্য নয়। আবার অনেকে দাবী তুলছে, প্রশাসন এদের থেকে সুবিধা নেই। তাছাড়া কেন এদের ব্যাপারে নিশ্চুপ বা এদেরকে রুখতে পারছে না? পরে তেল ডিপো’র বিষয়ে জানতে রাজশাহী জ্বালনি তেল ডিলার ও ডিষ্টিবিউশন এসোসিয়েশনের সভাপতি ও মেসার্স লতা ফিলিং স্টেশন এর মালিক মোঃ মনিমুল হকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এমন ডিপো’র সংখ্যা অনেক, যাদের কোন লাইসেন্স নাই। শুধু বাগমারা নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে লাইসেন্স বিহীন তেলের ডিপো। তারা তেল অন্য উপায়ে নিয়ে আসেন। তেলের দাম ও নিয়মের কথা বললে, তিনি বলছেন আমাদের তো পুলিশ প্রশাসন নেই যে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান বা একশন নিব। তবে তাদের বিরুদ্ধে একশন নিতে পারবে, যারা এদের লাইসেন্স দেয়। আর দামের ব্যাপারে সরকার আমাদের একটা রেট বেঁধে দিয়েছে এর বাইরে কিছু করার সুযোগ নাই। যারা খোলা বাজারে কম দামে তেল বিক্রি করছে তাদের কোন খরচ থাকেনা। তাদেরকে কোথাও ভ্যাট ট্যাক্স দেওয়া লাগে না। তাদের কোন কর্মচারীর বেতন লাগেনা। যার কারনে তরা নুন্যতম লাভে তেল বিক্রি করছে। তবে আপনি বললন, আমরাও এধরনের অনুমোদনহীন ডিপো বন্ধের জন্য চেষ্টা করবো। এছাড়াও এই প্রতিবেদকের সাথে বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ