মোহাম্মদ আককাস আলী : মাদক সেবি, মাদক কারবারি ও চোর,ডাতাতির সাথে জড়িত অপরাধীরা ওসি মোজাফফর হোসেনের নাম শুনলে আতংকে উঠে। ওসি মোজাফফর হোসেন নওগাঁর মহাদেবপুর থানায় যোগদানের পর থেকেই মাদক সেবি, মাদক কারবারি ও বিভিন্ন অপরাধীদের ধরতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় মহাদেবপুর থানাকে জেলার শ্রেষ্ঠ থানা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি কঠোর ভূমিক পালন করলেও অসহায়,হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি প্রতিটি মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে সাদা মনের মানুষ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করতে শুরু করেছেন। তাঁর অফিস কক্ষে ঢুকতে অনৃমতি লাগে না এমন কথা বললেন হতদরিদ্র এক বৃদ্ধ বিশু পাহান। ওই বৃদ্ধ বললেন, এক সমস্যার জন্য ওসি স্যারের নিকট গেলাম,আমার কথা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান করে দিলেন এবং আমাকে চা খাইয়ে আমার হাতে বাসের ভাড়া তুলে দিলেন। প্রবীণ সাংবাদিক গোলাম রসুল বাবু জানান,ওসি মোজাফফর হোসেন সাংবাদিক বান্ধব মানুষ এবং সাধারণ মানুষের মত জীবন যাপন করেন তিনি। ওসি মোজাফফর হোসেন জানান,মাদকের টাকা আমি ঘৃণা করি। মাদক কারবারি, মাদক সেবি এবং বিভিন্ন অপরাধীদের সাথে কোন আপোষ নেই। অপরাধী যেই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি এই থানায় যোগদানের পর পরই গত ১৬ মার্চ নওগাঁর নজিপুর পৌর এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৪ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ি আব্দুল জব্বার। পথিমধ্যে মহাদেবপুর-মাতাজীহাট সড়কের বেলট মোড়ে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আসা অজ্ঞাত চার যুবক পথ রোধ করে চোখে-মুখে মরিচের গুড়ো ছিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার ব্যাগে এবং পকেটে থাকা মোট ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। পরদিন ভুক্তভোগী উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের বেলট গ্রামের মৃত মুনসুর আলী সরদারের ছেলে আবদুল জব্বার বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ১৮ মার্চ রাত থেকে জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলায় দু’জনকে আটক থানা পুলিশ।
এসময় তাদের হেফাজতে থাকা নগদ দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা, লুণ্ঠিত টাকায় ক্রয়কৃত একটি স্বর্ণের চেইন, এক জোড়া কানের দুল, একটি ফ্রিজ ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে আসামীরা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া চাল বোঝায় ট্রাকসহ ডাকাত ও বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়
ওসি মোজাফফর হোসেন সুদক্ষ পরিকল্পনা পরিচালনা করায় অপরাধীরা অপরাধ করতে থেমে গেছে। এর আগে তিনি মান্দা থানায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করায় মান্দার জনতা আবারও এই সাদা মনের মানুষ ওসি মোজাফফর হোসেনকে পেতে চায় কিন্ত মহাদেবপুরের মানুষ তো আর তাকে ছাড়বেন না এমনই অভিমত সমালোচকদের।