1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
টাঙ্গাইলে বাড়ছে নদীর পানি, হিড়িক পড়েছে নৌকা তৈরিতে - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
গোদাগাড়ীতে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীদের পিটানোর দায়ে শিক্ষককে শোকজ মোহনপুর বিদিরপুরে উৎসবমূখর পরিবেশে শেষ হলো ওয়ার্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে – শাহাজান আলী জাল সনদে চাকরি নেওয়া ২০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন আর কোন সরকার যেন ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে: রাজশাহীতে জোনায়েদ সাকি দৌলতপুরে লাঠির আঘাতে আপেল লস্কর নামে ব্যাবসায়ীর মৃত্যু দৌলতপুরে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ এর প্রথম মিলন মেলা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

টাঙ্গাইলে বাড়ছে নদীর পানি, হিড়িক পড়েছে নৌকা তৈরিতে

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩

টাঙ্গাইলে বাড়ছে নদীর পানি, হিড়িক পড়েছে নৌকা তৈরিতে

কাজী মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলের অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে। জেলার মধুপুর ব্যতীত ১১টি উপজেলার ৩২টি হাটে এখন তৈরি নৌকা বিক্রি হচ্ছে। নৌকা তৈরির মৌসুমি কাঠমিস্ত্রিরা এখন খুবই ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। দিনরাত হাতুরি-বাটালের ঠুকঠুকানিতে মুখর টাঙ্গাইলের নৌকা তৈরির হাট-বাজার। জানা গেছে, টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে মধুপুর ব্যতীত ১১টি উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতে নৌকার প্রয়োজন হয়। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে নৌকা তৈরির কাঠমিস্ত্রি (সুতার) ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দিনরাত কাঠ চিরানো, তক্তা ও গুড়া বানানো, রান্দা দিয়ে কাঠ মসৃণ করা, তারকাটা (ছোট লোহা) ও পাতাম (লোহার পাত) দিয়ে তক্তা জোড়া লাগানো ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কাঠমিস্ত্রিরা (সুতার)। এসব কাজগুলো তারা বাড়ি বা পাড়ায় কিংবা নৌকার হাটগুলোর কাছাকাছি স্থানে করে থাকেন। নৌকা তৈরির মৌসুমি কাঠমিস্ত্রিরা বর্ষা মৌসুম ব্যতীত সময়গুলোতে বাড়ির পারিবারিক কাজ ও কৃষি কাজ করে থাকেন। আবার পেশাদার কাঠমিস্ত্রিরা সারা বছর নৌকা তৈরি ছাড়াও ঘর, খাট, চেয়ার, টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, আলনা, আলমারি ইত্যাদি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১১টি উপজেলার ৩২টি হাটে বর্ষা মৌসুমে নৌকা বিক্রি করা হয়। হাটগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলি, মাহমুদ নগর, ছিলিমপুর ও ওমরপুর, নাগরপুরের গয়হাটা ও চরসলিমাবাদ, মির্জাপুরের বরাটি, ছাওয়ালি মহেড়া ও চাকলেশ্বর, কালিহাতীর রামপুর, আউলিয়াবাদ ও কস্তুরিপাড়া, বাসাইলের মিরিকপুর, কাউলজানী, রাশড়া করিম বাজার ও ফুলকী, ঘাটাইলে কদমতলী ও হামিদপুর, ধনবাড়ীর পাইস্কা ও কেরামজানী, গোপালপুরের মোহনপুর, নলীন বাজার, নবগ্রাম ও চাতুটিয়া; ভূঞাপুরের ফলদা, গোবিন্দাসী, কুঠিবয়ড়া ও অর্জুণা, সখীপুরের দাড়িয়াপুর ও বহেড়াতৈল এবং দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি, এলাসিন ও ফাজিলহাটি। সরেজমিনে জানা যায়, কাঠমিস্ত্রিরা (সুতাররা) কেউ বাড়ির আঙনায় বা পাড়ার খালি জায়গায়, কেউ কেউ হাটের পাশে নৌকা তৈরি করছেন। কেউ কাঠ চিরচ্ছেন, কেউ তক্তা ও গুড়া বানাচ্ছেন। আবার কেউ রান্দা দিয়ে কাঠ মসৃণ করছেন, কেউ কেউ তারকাটা (ছোট লোহা) ও পাতাম (লোহার পাত) দিয়ে তক্তা জোড়া লাগাচ্ছেন। কাঠমিস্ত্রি বলরাম সূত্রধর, বিশ্বজিৎ সূত্রধর, স্বপন সূত্রধর, পলাশ সূত্রধর, হরিমোহন সূত্রধরসহ অনেকেই জানান, এখন প্রায় প্রত্যেক এলাকার বড় রাস্তাই পাকা করা হয়েছে। ফলে দূরের যাত্রার জন্য কেউ বড় নৌকা তৈরি করে না। বর্ষায় এ পাড়া থেকে ওপাড়া যাতায়াতের জন্য ছোট ছোট নৌকার প্রয়োজন হয়। তাই বড় নৌকা তৈরি হয় না। ছোট নৌকার কদর বেশি। অধিকাংশ কাঠমিস্ত্রি জানায়, বর্ষা মৌসুমে কাঠমিস্ত্রির কাজ করেই তাদের সংসার চলে। ছোট সময় থেকে বাপ-দাদার কাছে হাতেখড়ি নিয়েছেন তারা। কাঠমিস্ত্রির কাজ করা তাদের নেশা ও পেশা। একটি নৌকা তৈরিতে তিনজনের দুই থেকে তিনদিন সময় লাগে। কাঠমিস্ত্রি রমেন স্যানাল জানান, শিশুকালে হাতুড়ি-বাটালের সঙ্গে বড় হয়েছেন তিনি। লেখাপড়া করেন নাই। পূর্বপুরুষের পেশাকেই মূল পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বউ-বাচ্চা নিয়ে মোটামুটি ভালোই চলে যায়। তিনি চুক্তিতে বায়নায় নৌকা তৈরি করেন। এতে প্রতিদিন ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা মজুরি পান। বর্ষার সময় এলে আয়-রোজগার ভালোই হয়। শুকনো মৌসুমে সংসারের টুকিটাকি আর কৃষিকাজ করেন। তিনি এই পেশায় প্রায় ৩৫ বছর ধরে রয়েছেন। অপর কাঠমিস্ত্রি সখী সরকার জানান, প্রায় ৩০ বছরের বাপ-দাদার পেশায় আছেন তিনি। বর্ষার সময় নৌকা তৈরি ও অন্য সময় ঘর তৈরির কাজ করেন। বর্ষা মৌসুমে নৌকার খুবই কদর থাকে। এ সময় নৌকার কাজ বেশি করেন। নৌকা তৈরিতে লোহা, কাঠ, স্টিল ইত্যাদির প্রয়োজন হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ