দশমিনায় এইচএসসি পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে ইনডেক্স ধাড়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা বাদদিয়ে মাধ্যমিক,মাদ্রাসা ও প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকা
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে কক্ষ পরিদর্শক প্রেরনে মানছেনা কোন নিয়মনীতি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ও আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল্লাহ।
জনা যায়, ২০২৩ সনের এইচএসসি ও কারীগরি পরীক্ষায়( বিজ্ঞান, মানবিক, অর্থনীতি) মোট অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা আনুমানিক ১৫শত জন। সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট দুটি বিদ্যালয়ে কেন্দ্র হিসাবে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় মোট কলেজ চারটি, এমপিও কলেজের সংখ্যা দুইটি। এমপিও কলেজের ইনডেক্সধারী শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকা সত্য তাদের নিয়মিত পরীক্ষায় বাদদিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমিক, মাদ্রাসার ও প্রাথমিক শিক্ষক- শিক্ষিকা নিয়ে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালনে ব্যবহার করা হয়। পরীক্ষা শুরুর পূর্বে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণে উপজেলায় বিভিন্ন কমিটি করা হলেও তা সম্পর্কে অবহিত বা জানানো হয়নি উপজেলার তিনটি কলেজের অধ্যাক্ষকে এবং তাদের এ সম্পর্কে দেয়া হয়নি কোন চিঠি। পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শক নিয়ে রয়েছে কলেজ গুলোর মধ্যে নানা অভিযোগ। গত ৩১ আগস্ট ডাঃ ডলি আকবর মহিলা কলেজের শিক্ষক কতৃক অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব এর অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা নাজ নীরা বিষয়টি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা কমিটি ও বিভিন্ন কলেজের প্রভাষক ও শিক্ষকদের নিয়ে তার কক্ষে বসেন। সেই সভায় অনিয়মের বিষয় আলোচনা হয় এবং সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। অদ্য ৩ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রে কক্ষপরিদর্শক দায়িত্ব দানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের দিকনির্দেশনা অমান্য করে কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল্লাহ কলেজের ইনডেক্সধারী শিক্ষক -শিক্ষিকাদের কেন্দ্র কক্ষ পরিদর্শক না দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমিক,মাদ্রাসা ও প্রাথমিকের শিক্ষকদের দিয়ে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ডাঃ ডলি আকবর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) আবদুল করিম বলেন, চলোমান এইচএসসি পরীক্ষার কোন কমিটির কাগজপত্র পাইনি। আমি সদস্য হিসাবে আছি। ৩ সেপ্টেম্বর সকালে কারিগরি বিষয়ের মার্কেটিং নীতি ও প্রয়োগ- ২ পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২ শত ৮৮ জন অনুপস্থিত ২। পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে কলেজের ইনডেক্স ধারী শিক্ষক -শিক্ষিকা বাদ দিয়ে মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। কেন্দ্র সচিব সহ ২-৩ জন শিক্ষক তাদের ছক বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্র সচিবকে ব্যবহার করছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্র সচিব ও আবুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে (ভারপ্রাপ্ত) একাধিক বার মোবাইল করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা নাজ নীরা বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সচিবকে কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে নীতিমালার প্রতি গুরত্ব দিয়ে ৩১ আগস্ট দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অদ্য অর্থাৎ রবিবার পরীক্ষা কেন্দ্রে কলেজের ইনডেক্স ধারী শিক্ষক-শিক্ষিকা বাদ দিয়ে মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক শিক্ষকদের কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি দেখবো।