মোহাম্মদ আককাস আলী : মাছে ভাতে বাঙালি এখন ইলিশের স্বাদ পাঙ্গাস তেলাপিয়াতেও মিটাতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। জাতীয় মাছ ইলিশ গরীবের চোখে স্বপ্নের মত। বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ এখন বিক্রি হচ্ছে ১২শ থেকে ১৫টাকায়।পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছও এখন চড়া দামে কিনতে গিয়েও সাধারণ ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছে। আমিশের অভাবে দেহে বিভিন্ন রোগ ব্যাধির জন্ম হচ্ছে। ডাক্তারের কাছে গুণতে হচ্ছে টাকা।

মাঝারি আকারের তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের দাম দুইশো টাকারও উপরে প্রতি কেজি। মাছ চাষীরা যে দামে মাছ বিক্রি করছেন, তার চেয়ে কেজি প্রতি ৫০-৮০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতার সাথে আলাপচারিতায় তারা বলেন  ‘পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে তারা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।’

এদিকে মাছের খামারিরা বলছেন, ‘মাছের খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন খরচ, বিদ্যুৎ খরচ ও মজুরির বাড়তির জন্য মাছর দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদের নিকট মধ্যসত্ত্বভোগীরা কম দামে মাছ কিনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতারাও সেজন্য বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হন।’

 বিভিন্ন বাজারে মাঝারি আকারের কাতলা ও রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে এবং পাঙ্গাস ১৮০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সচেতন মহলের দাবি, ‘সুষ্ঠু ও কঠোর বাজার তদারকির অভাবে যে যেভাবে পারছে ক্রেতাদের পকেট কাটছেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবী জানান সমালোচকেরা।