1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
বগুড়ায় চাল ব্যবসায়ীদের সাবধান হতে বললেন খাদ্যমন্ত্রী - dailynewsbangla
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে হতাশায় নওগাঁর কাঁচা মরিচ চাষীরা  ঘোড়াঘাটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত মৎস্যজীবী হত্যার ৩ নম্বর আসামি  র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার রাজশাহীতে সেনা অভিযানে হত্যাসহ অসংখ্য মামলার আসামি জুলুসহ গ্রেপ্তার-৩ মান্দায় ইউএনও শাহ আলম ইউক্যালিপটাসের চারা নিধন করলেন প্রেমের টানে মেয়ের নানার বাড়িতে ছেলের অনশন, বিয়েতে অনীহা ছেলের পরিবারের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জবাইকৃত ৫টি ঘোড়া উদ্ধার, একজন আটক বোয়ালমারীতে মাদক কারবারি আটক ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শন করলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মান্দায় মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের সামগ্রী নিয়ে উধাও শ্রমিকেরা

বগুড়ায় চাল ব্যবসায়ীদের সাবধান হতে বললেন খাদ্যমন্ত্রী

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বগুড়ায় চাল ব্যবসায়ীদের সাবধান হতে বললেন খাদ্যমন্ত্রী

 বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া-খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চাল ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের ‘শেয়ালের চেয়েও ধূর্ত’ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘ভরা মৌসুমে চালের মূল্য বৃদ্ধির কোন যুক্তি নেই। কৃত্রিমভাবে চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে আপনারা ব্যবসায়ীরা একে অপরকে (মিল মালিক, আড়দতার, খুচরা ও পাইকারি বিক্রিতা) দোষারোপ করেন। আপনারা শেয়ালের চেয়েও ধূর্ত। তবে আইন বসে থাকবে না। আপনারা যত চালাক আইন তার চেয়ে বেশি চালাক। এখনই সাবধান হয়ে যান। নতুন আইন হচ্ছে। শুধু জরিমানাই নয় প্রয়োজনে জেলেও যেতে হবে পারে।’ রবিবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বগুড়ার চালকল, আড়ৎ এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।মতবিনিময় সভায়, চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা আড়তদারদের দায়ী করেন। আর আড়তদাররা মিল মালিকদের দায়ী করেন।অন্যদিকে মিল মালিকরা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আগ্রাসী ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ উত্থাপন করেন।স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী আড়তদার এবং মিল মালিকদের বিরুদ্ধে গোপন স্থানে ধান ও চাল মজুদের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, অবৈধ মজুদের পাশাপাশি তারা বিক্রয় রশিদের লেখা দরের চেয়ে কম দামেও বিক্রি করে ধান চাল বিক্রির টাকা অন্য ব্যবসার হিসাবে জমা রাখছে যা এক ধরনের মানি লন্ডারিং।সভায় আব্দুল হান্নান নামে স্থানীয় এক আড়তদার বাজারগুলোতে বগুড়া জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে বেশি দামে চাল বিক্রির অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি চাল কল মালিকদের বিরুদ্ধে গোপনে হাজার হাজার মণ ধান মজুদের অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, ‘প্রশাসন চাইলে আমি মজুদদারদের সম্পর্কে তথ্য দিতেও প্রস্তুত আছি।আরিফ হোসেন নামে স্থানীয় এক চাল কল মালিক চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর তৎপরতাকে দায়ী করেন।’তাদের বক্তব্যের জবাবে খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্ত্র মজুমদার কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়ে বলেন, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সুগন্ধী চালের বাইরে সাধারণ মানের চাল কতটুকু কিনতে বা বাজারজাত করতে পারবে সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আর মজুদ পরিস্থিতি তদারকির জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রত্যেক মিল মালিককে তার উৎপাদিত চালের বস্তা কিংবা ব্যাগে মিল রেট এবং উৎপাদনের তারিখ লেখা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এজন্য সংসদে পাশ করা নতুন আইনও প্রনয়ণ করা হয়েছে। এখন বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। ওই আইনে খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপনন ব্যবস্থায় কোন অপরাধ পাওয়া গেলে অপরাধীর ন্যূতম ১০ লাখ টাকা জরিমানা এমনকি জেলের বিধান রয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে খাদ্য নিয়ে অপরাধমূলক তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাবে।সভায় মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ভৎর্সনা করেন। তিনি বলেন, ‘খাদ্য বিভাগের পরিদর্শকসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা মনে হয় ঘাস কাটে। তারা প্রতিনিয়ত বাজার পরিদর্শন করেন না। আমাদের নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত তারা বাজারে নামেনি। তারা যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতেন তাহলে এমন পরিস্থিতি হতো না।তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আমাদেরকে অবহিত করতে হবে।’দ্রব্য মূল্য না বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমাদের দলের ইশতেহারেও দ্রব্য মূল্য না বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই আমাদের নির্দেশনা দিয়ে মাঠে নামিয়েছেন। এরই মধ্যে আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছি এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর রয়েছে যে, আড়তার ও মিল মালিকরা নির্ধারিত গুদামের বাইরে ধান মজুদ করছেন। যেসব অঞ্চলে ধানের আবাদ বেশি হয় সেসব এলাকাতেই গোপনে এধরনের গোডাউন গড়ে তোলা হয়েছে।সভায় কয়েকজন চালকল মালিক ব্যবসা করতে গিয়ে পথে বসার কথা জানালে মন্ত্রী তার প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে যেসব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা কেউ ব্যবসা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। বরং চাল কলের নামে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে সেই টাকায় ব্যবসা না করে বরং গাড়ি-বাড়ি করার কারণেই আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।তিনি চালকল মালিকদের বিরুদ্ধে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগ্রাসী ব্যবসার সুযোগ প্রদানের অভিযোগ করে বলেন, আপনারা যখন ক্ষতিগ্রস্ত হন তখন মিলগুলো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি নিজে চাল উৎপাদন করে তা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির সময় তাদের চাহিদা অনুযায়ী বস্তা গুলোতে প্রতি কেজিতে ১০ তেকে ১৫ টাকা বেশি মূল্য উল্লেখ করে সিল মারছেন।মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস,অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন বক্তৃতা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ