ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির ভাগ্যের ফয়সালা হবে উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ট্রাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক  সভা অনুষ্ঠিত মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা ভেড়ামারায় মাদক প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালমারীতে ভীমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু  কুষ্টিয়া-১ আসনে মনোনয়ন পেয়ে নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন বাচ্চু মোল্লা লক্ষ্মীপুরে তওহীদ ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে ছাত্রদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মান্দায় সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ আর কি দখল মুক্ত হবে? বোয়ালমারী চিতারবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ঘোড়াঘাটে হিজড়া থাকলেও ভোটার তালিকায় তৃতীয় লিঙ্গের ক্যাটাগরি শূন্য

নীলফামারীর পারঘাট সেতু নির্মাণে ৩ বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ

রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর পারঘাট সেতু নির্মাণ কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় গত ৩ বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। নদীর উপর সেতু না থাকায় এ অঞ্চলের লোকজনের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এখন নৌকা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ। তাই জনদুর্ভাগ কমাতে সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রæত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন। এ সেতু চালু হলে নীলফামারী- কিশোরগঞ্জের দূরত্ব কমার পাশাপাশি প্রসার ঘটবে এ অঞ্চলের ব্যবসা- বাণিজ্যের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাড়ালকাটা নদীর উপর ২৫২ দশমিক ৩ মিটার সেতু নির্মাণের কাজ পায় যশোরের মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের ২ মে নির্মাণ কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ কাজের চুক্তিমূল্য ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৪ টাকা। ২০১৮ সালের ২৮ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা।

কাজের মেয়াদ গত দু’বছর আগেই শেষ হয়েছে কিন্তু শুধুমাত্র পিলার ছাড়া দৃশ্যমান কাজের নেই কোন অগ্রগতি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের গাফিলতি ও কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। ফলে দুর্ঘটনার আশংকা নিয়ে নৌকাযোগেই প্রতিদিন লোকজনকে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ব্রীজের অর্ধেক নির্মাণ কাজ করে দীর্ঘদিন হলো এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় প্রতিদিন কাঁচামাল পারাপার করতে হয়। নদীর পূর্ব পাশের মাগুড়া ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বছরের আসলিমা নামের এক মহিলা বলেন, আমি অসুস্থ মানুষ নীলফামারীতে ডাক্তার দেখাতে প্রায় নদী পার হতে হয়। বয়স হয়েছে এভাবে নৌকায় নদী পার হতে ভীষণ কষ্ট হয়। উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে একটি ব্রীজের কাজ চলছে।

পিলার ছাড়া কিছুই কাজ হয়নি। আমি সরকারের কাছে দ্রæত নির্মাণকাজ শেষ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। নীলফামারীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী সুজন কুমার রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির ভাগ্যের ফয়সালা হবে

নীলফামারীর পারঘাট সেতু নির্মাণে ৩ বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ

আপডেট টাইম : ০৬:২১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০

রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর পারঘাট সেতু নির্মাণ কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় গত ৩ বছরে কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। নদীর উপর সেতু না থাকায় এ অঞ্চলের লোকজনের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এখন নৌকা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ। তাই জনদুর্ভাগ কমাতে সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রæত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন। এ সেতু চালু হলে নীলফামারী- কিশোরগঞ্জের দূরত্ব কমার পাশাপাশি প্রসার ঘটবে এ অঞ্চলের ব্যবসা- বাণিজ্যের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাড়ালকাটা নদীর উপর ২৫২ দশমিক ৩ মিটার সেতু নির্মাণের কাজ পায় যশোরের মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের ২ মে নির্মাণ কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ কাজের চুক্তিমূল্য ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৪ টাকা। ২০১৮ সালের ২৮ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা।

কাজের মেয়াদ গত দু’বছর আগেই শেষ হয়েছে কিন্তু শুধুমাত্র পিলার ছাড়া দৃশ্যমান কাজের নেই কোন অগ্রগতি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের গাফিলতি ও কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। ফলে দুর্ঘটনার আশংকা নিয়ে নৌকাযোগেই প্রতিদিন লোকজনকে নদী পারাপার হতে হচ্ছে। শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ব্রীজের অর্ধেক নির্মাণ কাজ করে দীর্ঘদিন হলো এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় প্রতিদিন কাঁচামাল পারাপার করতে হয়। নদীর পূর্ব পাশের মাগুড়া ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বছরের আসলিমা নামের এক মহিলা বলেন, আমি অসুস্থ মানুষ নীলফামারীতে ডাক্তার দেখাতে প্রায় নদী পার হতে হয়। বয়স হয়েছে এভাবে নৌকায় নদী পার হতে ভীষণ কষ্ট হয়। উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে একটি ব্রীজের কাজ চলছে।

পিলার ছাড়া কিছুই কাজ হয়নি। আমি সরকারের কাছে দ্রæত নির্মাণকাজ শেষ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। নীলফামারীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী সুজন কুমার রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।