নদীর তীর রক্ষাকারী বাঁধের মাটি যাচ্ছে ইট ভাটার পেটে
মোহাম্মদ আককাস আলী : নওগাঁয় নদীর তীর রক্ষাকারী বাঁধের মাটি যাচ্ছে ইট ভাটার পেটে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থান পূরণেও বিক্রি হচ্ছে এই মাটি। এমন বিষয়টি নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানালেও মাসাধিক সময় পার হলেও দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় চলমান রয়েছে বাঁধের মাটি লোপাট। যার কারণে ভবিষ্যতে বাঁধের স্থায়ীত্বের বিষয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাণীনগরের মিরাট ইউনিয়নের ২নং স্লুইস গেইট সংলগ্ন স্থানে পাহাড় সমান বাঁধের তীর ও তীরে থাকা বাঁধ রক্ষাকারী বড় বড় গাছ কেটে ফেলে এবং নিচের খাস জমিতে পুকুর খননের মাটি বহনের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।
কুজাইল এলাকার সর্বরামপুর গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের ছত্রছাঁয়ায় বাঁধ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে কৌশল পালটিয়ে রাতে মাটি কাটছেন। বাঁধ সংলগ্ন জমি অনেক গভীর করার কারণে বর্ষা মৌসুমে বাঁধের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া এক সময় বাঁধের নিচে সুরঙ্গের সৃষ্টির মাধ্যমে বাঁধ ভেঙ্গে বড় ধরণের বন্যা সৃষ্টির আশঙ্কাও করছেন স্থানীয়রা। কখনোও বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার সৃষ্টি হলে বাঁধের উত্তর দিকে থাকা বিভিন্ন বিল ও মাঠের হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে এবং পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি গ্রামের পর গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বাঁধের তীরবর্তি গ্রামগুলোর বাসিন্দারা।
মাটি ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান যে তিনি মাটির বিনিময়ে জমিতে পুকুর খনন করে দিচ্ছেন। বাঁধ কেটে রাস্তা তৈরি করে বাঁধের ও জমির মাটি বহনের জন্য অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এছাড়া ঐ স্থানে একটু খাস জমিও থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান যে, বিষয়টি তিনি জানেন না। খাস জমির মাটি কাটার বিষয়টি দেখবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান। আর বাঁধের মাটি কাটলে এবং বাঁধের গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করে মাটি বহন করার বিষয়ে যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।