ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে : শরীফ উদ্দিন জুয়েল ঘোড়াঘাটে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে সরকারি খাসজমি দখলের মহোৎসব নওগাঁয় ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত ভেড়ামারায় জাতীয় সমবায় দিবস পালিত ভেড়ামারায়  ট্রলির নিচে পড়ে যুবকের মৃত্যু রিফায়েতপুর যুব সংঘ ক্লাব পরিদর্শন করলেন শরীফ উদ্দিন জুয়েল  ধামইরহাটে  অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল  সংঘর্ষ, সড়কে ঝরলো আরো একজনের প্রাণ।  যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বোয়ালমারীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ, চলছে আপসের চেষ্টা বরেন্দ্র অঞ্চলে মাসকলাইয়ের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

অফিসে ঢুকে ভিএসকে মারধরের অভিযোগছেলের বাবাকে এক মাসের কারাদন্ড

অফিসে ঢুকে ভিএসকে মারধরের অভিযোগছেলের বাবাকে এক মাসের কারাদন্ড

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বুধবার (১৭.০৪.২৪) প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে ভেটেনারি সার্জন (ভিএস) ডা. আব্দুল আলিমকে মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বাবাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মারধর ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জানা যায়, ওই দিন দুপুর ১টার দিকে পৌর সদরের দক্ষিন কামারগ্রামের হরেন্দ্রনাথ বিশ্বামের ছেলে তরুন বিশ্বাস (৩৫) ও একই এলাকার তুষার হোসেন (৩৫) আকষ্মিকভাবে অফিসে ঢুকে ডা. আব্দুল আলিমকে মারধর ও টেবিলের গ্লাস ভাংচুর করে অফিস থেকে বের হয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান এবং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পশু চিকিৎসক (কক) হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গেলে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে মো. মেহেদী হাসান ২০১৯ সালের ভ্যাটেনারী কাউন্সিল আইনের ৩৫ধারায় এ দন্ড প্রদান করেন।
ভেটেনারি সার্জন (ভিএস) ডা. আব্দুল আলিম বলেন, একজন কৃষকের গাভীর অলান (দুধ) ফুলে গেলে গাভী নিয়ে আমার নিকট আসে। কৃষক জানায়, প্রাথমিক অবস্থায় হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে দেখালে সে বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে ছয় হাজার টাকা নেয় কিন্তু ফোলা না কমে আরও বেড়ে গেছে। আমি কৃষককে জানাই আপনার ওই চিকিৎসা সঠিক হয়নি। আপনি নতুন করে ওষুধ খাওয়ান। এরপর ওই কৃষক হরেন্দ্রনাথকে গিয়ে ধরেছে। ভুল চিকিৎসা দিয়ে ছয় হাজার টাকা নিয়েছে। এসব বলার পরই হরেন্দ্রনাথের ছেলে অফিসে ঢুকে এ কান্ড ঘটায়। এ বিষয়ে ডা. আব্দুল আলিম থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তরুন বিশ্বাস (৩৫) মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বাবাকে ডা. আব্দুল আলিম গালিগালাজ করেছে। সেটা শোনার জন্য অফিসে গিয়েছিলাম কিন্তু কোন ধরনের মারধর বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। আমার বাবাকে এক মাসের সাজা দিয়েছে বলে শুনেছি। তাঁরা আর কি কি করবে তা গয়েবের মালিক জানেন।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান বলেন, মারধর ও ভাংচুরের খবর পেয়ে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গিয়েছিলাশ। সেখানে নমুনা পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান বলেন, হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এক সময় প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চাকরি করতো। অবসরে গিয়ে সে পশুর চিকিৎসা দেওয়া শুরু করে। কিন্তু তার কোন পামিশন ছিলনা। বিনা পারমিশনে অপচিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে ভ্যাটেনারী কাউন্সিলের আইন অনুযায়ী তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। অন্য সিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tag :

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে : শরীফ উদ্দিন জুয়েল

অফিসে ঢুকে ভিএসকে মারধরের অভিযোগছেলের বাবাকে এক মাসের কারাদন্ড

আপডেট টাইম : ০৭:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

অফিসে ঢুকে ভিএসকে মারধরের অভিযোগছেলের বাবাকে এক মাসের কারাদন্ড

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বুধবার (১৭.০৪.২৪) প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে ভেটেনারি সার্জন (ভিএস) ডা. আব্দুল আলিমকে মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বাবাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মারধর ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জানা যায়, ওই দিন দুপুর ১টার দিকে পৌর সদরের দক্ষিন কামারগ্রামের হরেন্দ্রনাথ বিশ্বামের ছেলে তরুন বিশ্বাস (৩৫) ও একই এলাকার তুষার হোসেন (৩৫) আকষ্মিকভাবে অফিসে ঢুকে ডা. আব্দুল আলিমকে মারধর ও টেবিলের গ্লাস ভাংচুর করে অফিস থেকে বের হয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান এবং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পশু চিকিৎসক (কক) হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গেলে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে মো. মেহেদী হাসান ২০১৯ সালের ভ্যাটেনারী কাউন্সিল আইনের ৩৫ধারায় এ দন্ড প্রদান করেন।
ভেটেনারি সার্জন (ভিএস) ডা. আব্দুল আলিম বলেন, একজন কৃষকের গাভীর অলান (দুধ) ফুলে গেলে গাভী নিয়ে আমার নিকট আসে। কৃষক জানায়, প্রাথমিক অবস্থায় হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে দেখালে সে বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে ছয় হাজার টাকা নেয় কিন্তু ফোলা না কমে আরও বেড়ে গেছে। আমি কৃষককে জানাই আপনার ওই চিকিৎসা সঠিক হয়নি। আপনি নতুন করে ওষুধ খাওয়ান। এরপর ওই কৃষক হরেন্দ্রনাথকে গিয়ে ধরেছে। ভুল চিকিৎসা দিয়ে ছয় হাজার টাকা নিয়েছে। এসব বলার পরই হরেন্দ্রনাথের ছেলে অফিসে ঢুকে এ কান্ড ঘটায়। এ বিষয়ে ডা. আব্দুল আলিম থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তরুন বিশ্বাস (৩৫) মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বাবাকে ডা. আব্দুল আলিম গালিগালাজ করেছে। সেটা শোনার জন্য অফিসে গিয়েছিলাম কিন্তু কোন ধরনের মারধর বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। আমার বাবাকে এক মাসের সাজা দিয়েছে বলে শুনেছি। তাঁরা আর কি কি করবে তা গয়েবের মালিক জানেন।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান বলেন, মারধর ও ভাংচুরের খবর পেয়ে প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গিয়েছিলাশ। সেখানে নমুনা পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান বলেন, হরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এক সময় প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চাকরি করতো। অবসরে গিয়ে সে পশুর চিকিৎসা দেওয়া শুরু করে। কিন্তু তার কোন পামিশন ছিলনা। বিনা পারমিশনে অপচিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে ভ্যাটেনারী কাউন্সিলের আইন অনুযায়ী তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। অন্য সিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।