1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
গোদাগাড়ীতে মাদক পারাপার করেই কোটিপতি ঘাটের ইজারাদার - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শন করলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মান্দায় মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের সামগ্রী নিয়ে উধাও শ্রমিকেরা ঘোড়াঘাটে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত অবশেষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে নওগাঁ পৌরসভার বেহাল রাস্তাগুলো  মৎস্যজীবীকে হত্যার ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের ঘোড়াঘাটে দুর্ধর্ষ চুরি, নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুট থানায় অভিযোগ নিখোঁজ মৎস্যজীবীর লাশ ৩ কিলোমিটার ভাটিতে ভেসে উঠলো  দৌলতপুর সীমান্তে মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী অন্তর্জাতিক দিবস পালিত নওগাঁয় অসচ্ছল সংস্কৃতিকর্মীরা পেলো ১১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদলের ব্যতিক্রমধর্মী মানবিক উদ্যোগ

গোদাগাড়ীতে মাদক পারাপার করেই কোটিপতি ঘাটের ইজারাদার

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪

গোদাগাড়ীতে মাদক পারাপার করেই কোটিপতি ঘাটের ইজারাদার

রাজশাহী ব্যুরো: প্রতি বছরেই হু হু করে বাড়ছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী খেয়াঘাটের ইজারা মূল্য। মাত্র বছর পাঁচ আগেও যে ঘাটের মূল্য ছিল মাত্র ১০-১৫ লক্ষ টাকা, সেই ঘাটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে এখন কোটি ছুুঁই ছুঁই। প্রশ্ন একটায়, এত টাকা দিয়ে ঘাট টেন্ডার নিয়ে ইজারাদার লাভবান হচ্ছে কি? এত টাকা দিয়ে ঘাট নিচ্ছেই বা কেন? এমন প্রশ্নের অনুসন্ধানে মিডিয়াকর্মী। গত কয়েক সপ্তাহের অনুসন্ধানে মিডিয়ার হাতে অনেক তথ্যই বেরিয়ে এসেছে খেয়াঘাট সম্পর্কে। গত কয়েক সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে মানুষ ও কৃষি পণ্য পারাপারের জন্য গোদাগাড়ীতে মোট ছয়টি ঘাট থাকলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় খেয়াঘাট উপজেলার মহিষালবাড়ি বা রেল বাজার ঘাট। যার কাগজিও নাম ভগবন্তপুর ঘাট। এই ঘাটটির এবারের টেন্ডার মূল্য সাড়ে ৫৭ লক্ষ টাকা। একইভাবে সুলতানগঞ্জ ও বালিয়াঘাটা তিনগুন দাম দিয়ে ঘাট ইজারা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। অথচ এসকল ঘাটের সরকারের টার্গেট ছিল ভগবন্তপুর ২৩,৫৩,১৯৬ টাকা, সুলতানগঞ্জ ১৫,৮২,০৭৫ টাকা এবং বালিয়াঘাটা ২,৬৪,০০০ টাকা মাত্র। তবে এই ঘাটগুলোর কাগজে ইজারাদার হিসেবে আহসান হাবীব আজাদের নাম থাকলেও ঘাটটি নিয়ন্ত্রণ করছেন মুলত আরিফুল ইসলাম ওরফে বিপ্লব ঘাটিয়াল। যার ইশারায় রাত দিন পার হয়ে থাকে মাদকসহ অবৈধ মালামাল। আর এই মাদক ও অবৈধ মালামাল পার করেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বিপ্লব ঘাটিয়াল। অথচ মাত্র ১০ বছর আগেও যার পারিবারিক অবস্থা ছিল খুব শোচনীয়। কিন্তু আজ সে কোটিপতি। তবে এই খেয়াঘাট পরিচালনা করে শুধু বিপ্লব কোটিপতি হয়নি এই ঘাটগুলোর সাথে জড়িত বেশির ভাগ শেয়ারদার আজ টাকার কুমির হয়েছেন। তবে গোদাগাড়ীর মাদক পারাপারের সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট হিসেবে এই বিপ্লবকে ধরা হয়। প্রশ্ন এখন, কে এই বিপ্লব ঘাটিয়াল? বিপ্লব গোদাগাড়ী উপজেলার বিদিরপুর (নিচ পাড়া) গ্রামের আ: রাজ্জাকের ছেলে।

মাদক পারাপার নিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, সারাদেশে হিরোইন পাচারে সবার শীর্ষে যেমন গোদাগাড়ীর নাম, ঠিক তেমনি মাদক পারাপারের গড ফাদারের আরেক নাম বিপ্লব ঘাটিয়াল। এই সিন্ডিকেটের হাত ধরে দেশে প্রতিবছর শত শত কোটি টাকার হিরোইন প্রবেশ করেছে এবং করছে। মাদক পার করেই তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। রাজশাহী শহর ও নিজ এলাকায় (শাকপালা) বিঘা বিঘা জমি কিনেছেন। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এলাকাবাসী জানান, সে এক সময় ভারতীয় অবৈধ গরু ও মাদকদ্রব্য পারাপার করতো এবং নিজে ব্যবসাও করতো। সেই এই কাজের জন্য চর এলাকায় থাকতো।
পরে সে বিয়ে করে মাটিকাটা ইউনিয়নের ভাটোপাড়া (বাঙ্গালপাড়া) এলাকার আঃ করিমের মেয়েকে। সে দীর্ঘদিন ঘরজামাই ছিল। এরপর তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে। আগে সে প্রেমতলী, বিদিরপুর ও ফুলতলা খেয়াঘাট চালাতো।
পরে বিপ্লবের ব্যাপারে আরও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ মার্চ রাতে আড়াই কোটি টাকার হিরোইনের একটি বড় চালান গায়েব হয়ে যায়। হিরোইনটি মাদারপুরের তারেকের হলেও এই চালান পারাপারের দ্বায়িত্ব ছিল তার। এতে নিজেদের মধ্যে চরম রাগারাগি হয় এবং এর ফল হিসেবে এবার সেই ঘাট থেকে বিপ্লবকে বিদায় নিতে হয়। অবশেষে সেই সিন্ডিকেটের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তিনগুন টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছেন ভগবন্তপুর, সুলতানগঞ্জ ও বালিয়াঘাটা ঘাট। এই বিপ্লব ঘাটিয়ালের হয়ে কাজ করেন লালটু মাঝি, লিটন মাঝি, আলাউদ্দিন মাঝি ও ফরজ মাঝি। হিরোইন পাচার করতে গিয়ে ১ কেজি সহ প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে জেলে আছেন লিটন। বিদিরপুর ঘাট চালানোর সময় বিপ্লব ঘাটিয়ালের নিজস্ব দুইটা নৌকাও ছিল। যার মাঝি হিসেবে কাজ করতো এরা। এদের তথ্যবিবরণী নিয়ে আগামী পর্বে থাকবে।

এমন অভিযোগের ব্যাপারে ঘাটের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম বিপ্লবের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি প্রতিবেদকের উপর ক্ষিপ্ত হন। তিনি রাগান্বিত স্বরে বলেন, মাদক পার করলে আপনারা এসে ধরেন। মাদক ধরা আমাদের কাজ নয় প্রতিবেদক এমন কথা বললে তিনি বলেন, তাহলে আমাকে ফোন দিয়েছেন কেন? পরে তার সম্পদের কথা জানতে চাইতে তিনি জানান, দেশের সব সম্পদ আমি কিনেছি। শহরের জমি কিনার কথা বললে উত্তর দেন, তার স্ত্রী প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করেন। তার টাকা দিয়ে জমি কিনা হয়েছে। আমার ব্যাংকঋন ছিল, এখন নাই। আপনার মাল পার করতে গিয়ে লিটন মাঝি জেলে গিয়েছে বলতেই তিনি অস্বীকার করেন এবং ফোন কেটে দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ