1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
বগুড়া সারিয়াকান্দি গুচ্ছগ্রাম যমুনার ঢেউয়ের ভাঙ্গনে বিলীন : কমছে বাড়ছে পানি - dailynewsbangla
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০১:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দৌলতপুরে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন: সভাপতি নির্বাচিত বাচ্চু মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার রায়টা বালুঘাটে   ফিল্মী স্টাইলে গুলিবর্ষণ কৃষক আহত আলফাডাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে প্রচারণা তুঙ্গে  ভেড়ামারায় তুলাচাষীদের মাঝে বিনামুল্য  উপকরণ বিতরণ ফলন ভালো হলেও দাম নিয়ে হতাশায় নওগাঁর কাঁচা মরিচ চাষীরা  ঘোড়াঘাটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত মৎস্যজীবী হত্যার ৩ নম্বর আসামি  র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার রাজশাহীতে সেনা অভিযানে হত্যাসহ অসংখ্য মামলার আসামি জুলুসহ গ্রেপ্তার-৩ মান্দায় ইউএনও শাহ আলম ইউক্যালিপটাসের চারা নিধন করলেন প্রেমের টানে মেয়ের নানার বাড়িতে ছেলের অনশন, বিয়েতে অনীহা ছেলের পরিবারের

বগুড়া সারিয়াকান্দি গুচ্ছগ্রাম যমুনার ঢেউয়ের ভাঙ্গনে বিলীন : কমছে বাড়ছে পানি

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪

বগুড়া সারিয়াকান্দি গুচ্ছগ্রাম যমুনার ঢেউয়ের ভাঙ্গনে বিলীন : কমছে বাড়ছে পানি

(বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর ভাঙনে একটি গুচ্ছগ্রাম বিলীন হয়েছে। উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বেশ কিছু পরিবার। কয়েকদিনে হাজার বিঘা কৃষি জমি যমুনায় গর্ভে বিলীন হয়েছে। গত কয়েক দন ধরে বাড়ছে কমছে যমুনা নদীর পানি। গত ৫ আগস্ট থেকে উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে এখনো ভাঙ্গন চলমান রয়েছে। কয়েক দিনের ভাঙনে গুচ্ছগ্রামের অর্ধশত বাড়িসহ প্রায় শতাধিক পরিবারের সবগুলো যমুনায় বিলীন হয়েছে। গুচ্ছগ্রামের ঘর দরজাগুলো খুলে নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার উঁচু বাধে বা দূরে কোথাও আশ্রয় নিয়ে সেখানে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামের উপর দিয়ে এখন প্রমত্তা যমুনার পানি বহমান হয়েছে। সেখানে এখন অথৈ পানি। কয়েক দিনের নদী ভাঙনের শিকার এ গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে সুজাতপুর এবং চকরথিনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত মুজিব কিল্লা। এছাড়া ভাঙন হুমকিতে রয়েছে সুজাতপুর বিরামের পাঁচগাছি, সাহানবান্ধা আশ্রয়ন প্রকল্প হাটশেরপুর এবং পূর্ব বোহাইল গ্রামের শতশত পরিবার।
কথা হয় নদী ভাঙনের শিকার কয়েকজনের সাথে। তারা বেশ কয়েকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বসতি গড়ে তুলেছিলেন এই হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রামে। নদী ভাঙনের শিকার এ গ্রামের মৃত ইলেম বকস আকন্দের ছেলে তহসিন আলী আকন্দ ২০ বার, মোজাম আকন্দের ছেলে আব্দুল বারি আকন্দ ৬ বার, ফকির প্রামানিকের ছেলে তোফাজ্জল প্রামানিক ২৮ বার, শফিকুলের স্ত্রী ইমিলে বেগম ৭ বার করে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে শেষ আশ্রয় নিয়েছিলেন এই গুচ্ছগ্রামে। তাদের এ শেষ আশ্রয়টুকুও কেড়ে নিয়েছে যমুনা। তারা এখন বিভিন্ন এলাকায় নতুন আশ্রয়ের খোঁজে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই যমুনা নদীর পানি কখনো কমছে আবার কখনো বাড়ছে। গত ১৫ আগস্ট পানির উচ্চতা ছিল ১৫.২৮ মিটার। ১৬ আগস্ট ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে পানির উচ্চতা হয় ১৫.৩৮ মিটার। গত রবিবার  (১৮ আগস্ট) পানি ১ সেন্টিমিটার কমে উচ্চতা হয়েছে ১৫.৩৭ মিটার। সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানির বিপৎসীমা ১৬.২৫ মিটার। তাই পানি এখনো বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির জানান। সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি আরও কয়েকদিন এরকমই উঠানামা করবে। পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার কোনও তথ্য আপাতত আমাদের কাছে নেই। হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রাম যখন ভেঙে যায় তখন দেশে ব্যাপকভাবে অস্থিতিশীলতা চলমান ছিল। আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। অনেক অফিসিয়াল নথিপত্রই পুড়ে গেছে। এসব অস্থিতিশীলতায় ব্যস্ত থাকায় হাটশেরপুর গুচ্ছগ্রাম রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ