1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় শত বছরের ঐতিহ্য  কালেরসাক্ষী একটি বটগাছ - dailynewsbangla
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় শত বছরের ঐতিহ্য  কালেরসাক্ষী একটি বটগাছ

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় শত বছরের ঐতিহ্য  কালেরসাক্ষী একটি বটগাছ

(বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের সূর্য্যতা গ্রামে তিনশত বছরের পুরানো বটগাছটি কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িঁয়ে আছে। গ্রামের প্রবেশ মুখে রাস্তার ধারে প্রায় ৩০ শতক জায়গা জুড়ে দৃষ্টিনন্দন হয়ে ছেয়ে আছে প্রায় তিনশ’ বছরের পুরানো এই গাছটি। একটি মূল গাছ থেকে লতা নেমে সেগুলিও মাটির সাথে সংযুক্ত হয়ে কালক্রমে গাছে রূপান্তরিত হয়েছে। গাছের শীতল ছায়া আর পাখির কলরব প্রকৃতি প্রেমিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পশ্চিমে গুনাহার ইউনিয়নের সূর্য্যতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এই বট গাছটি দাঁড়িয়ে আছে। বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সাহারপুকুর থেকে রায়কালী অভিমুখে সড়কের ধারে বিশাল আকৃতির বটগাছটি পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে। গ্রামটিতে গিয়ে দেখা গেছে সূর্য্যতা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার ধারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের বিশাল আকৃতির বটগাছের শেকড়গুলিতে দীর্ঘ বয়স পাড়ি দেওয়ার ছাপ পড়েছে। উদ্দাম বাতাস আর ছায়া ঘেরা পরিবেশ জানান দিচ্ছে প্রকৃতির সুনিবিড় বার্তা। নির্মল বাতাসের স্পর্শ আর বুকভরা নিঃশ্বাস নিতে বটগাছের ছায়াতলে লোকজন সমবেত হয়েছে। বিশাল আকৃতি ধারণ করে এই এলাকার মানুষের কাছে এই এলাকাকে দর্শনীয় স্থান হিসাবে পরিচিতি করেছে। সবুজ-শ্যামলে ঘেরা নির্জন নিরব, মনোমুগ্ধকর এলাকার এই বট তলায় বিভিন্ন এলাকার মানুষের সমাগম ঘঠে। প্রচন্ড গরমের সময় এই ভীড় বেশি পরিলক্ষিত হয়। বট বৃক্ষের শীতল ছায়ায় ও হিমেল হাওয়ায় ক্লান্ত দেহ-মনে প্রফুল্যতা নিয়ে সবাই বাড়ি ফিরে যায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই বট তলায় নারী পুরুষসহ সকল শ্রেণির মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে। সেই সাথে পাখিদের আশ্রয়স্থল অভায়রণ্য গাছটি পাখিদের কলরবে মুখরিত হয়ে থাকে। বৃহদাকৃতির এই বটগাছের পাশেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটু পশ্চিমে সূর্য্যতা হাট। সূর্য্যতা গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েল সাবেক সভাপতি সুশীল চন্দ্র বর্মণ জানান, তার দাদার মুখে শুনেছেন গাছটির বয়স কতো, তারাও বলতে পারে না। তিনি নিজেও ছোট থেকে যে ভাবে গাছটি দেখে আসছেন, ঠিক তেমনি এখনো আছে। স্কুল শিক্ষক শ্যামল চন্দ্র বর্মণ, বীরেশ চন্দ্র বসাকসহ অনেকেই জানান, সূর্য্যতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অবসরে বটগাছের শীতল ছায়ার নিচে এসে খেলাধুলা করে। বটগাছটি শুধু গ্রামের নয় পুরো এলাকার ঐতিহ্য। বটগাছটি ঘিরে ইতিহাস ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, আর বাংলার সাহিত্য রচনাও হয়েছে। পুরাতন এই গাছটির গোড়ায় মাটি না থাকায় শেকড়গুলি বেরিয়ে দূর্বল হয়ে গেছে। মাটি ভরাট না করলে যে কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগে এই ঐতিহ্যের বিনাশ ঘটতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ