বগুড়া সোনাতলার হলিদাবগায় বাঙ্গালী নদীর ওপর সাঁকো নির্মাণ
(বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া সোনাতলায় হলিদাবগা নামক খেয়াঘাটে বাঙ্গালী নদীর ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে ৩০০ মিটার বাঁশের সাঁকো নির্মাণ হওয়ায় জনগণ নদী পারাপারে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেলো। এখানে পাকাব্রিজ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোরদাবী জানান। এ খেয়াঘাট একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বছরের বারোটি মাসে এখানে পানি থাকে। যুগ যুগ ধরে ঘাটের দু’পাশের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত ডিঙ্গি নৌকা যোগে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে আসছিল বাঙ্গালী নদী। ঘাটের পশ্চিম পাশে নদীর তীরে রয়েছে বাঙ্গালী নদীর নামানুসারে বাঙ্গালী হাট-সহ তিনটি হাট,ফসলি জমি,ভেলুরপাড়া রেলস্টেশন,একটি কলেজ-সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জোড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, কমিউনিটি ক্লিনিক, দুটি ব্যাংক ও বেশ কয়েকটি গ্রাম। অন্যদিকে ঘাটের পূর্ব পাশে রয়েছে পাকুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ, পাকুল্লা হাট,কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফসলি জমি ও বেশ কয়েকটি গ্রাম। দু’পাড়ের লোকদের নানা প্রয়োজনে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। নদী পারাপার হওয়া দু’পাড়ের লোকদের বড় দুর্ভোগ। এ দুর্ভোগ লাঘবে এলাকার সমাজ সেবক বাউল মুকুল প্রায় ছয় মাস পূর্বে হলিদাবগা খেয়াঘাটে বাঙ্গালী নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তিনি নদীর দু’পাড়ের লোকদের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে সংগ্রহ করেন বাঁশ ও লোহা-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস। সবকিছু সংগ্রহ শেষে সাঁকো নির্মাণ কাজ শুরু করেন দু’পাড়ের মানুষজন। তারা দুই মাস ধরে ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যে নির্মাণ করেন বাঁশের সাঁকো। এলাকার বাউল মুকুল ও বাবর আলী বলেন হলিদাবগা নামক স্থানে সাঁকো নির্মাণ হওয়ায় নদী পারাপারে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাওয়া গেল। সুফলভোগ করছেন নদীর দু’পাড়ের মানুষজন। পিন্টু মিয়া,জহির রায়হান ও নরেশ সাধু জানান আপাততঃ সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হতে পারছি। কিন্তু আগামীতে ভয়াবহ বন্যা ও খরস্রোত পড়লে সাঁকোটির ক্ষতি হতে পারে। এতে আবারো দুর্ভোগে পড়তে হবে। জোড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী বলেন হলিদাবগা ঘাটে বাঙ্গালী নদীর ওপর পাকা ব্রিজ নির্মাণ হলে দুইপাড়ের মানুষদের কৃষি,শিক্ষা ও ব্যবসা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধা বাড়বে। তাই এখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য তিনি সরকারের প্রতি প্রাণের দাবী জানান। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আতিকুর রহমান তালুকদার জানান হলিদাবগা নামক স্থানে বাঙ্গালী নদীর ওপর দৈর্ঘ্যে ৩০০ মিটার ব্রিজ নির্মাণ ব্যাপারে আমি ইতিমধ্যে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। এখানে ব্রিজ নির্মাণ হলে জনসাধারণ সুফল ভোগ করবে।