বোয়ালমারীতে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চরবনমালীপুর গ্রামের নিজের পুকুরের মাছ মেরে ও গাছ বিক্রি করে বিপাকে পড়েছেন দুই জমির মালিক। মাছ মারার ঘটনায় জমির মালিক আইয়ুব আলী খানসহ ৫০/৬০ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন আসমাউল হুসনা। এই মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সোমবার (২৭ জানুয়ারী) কালিমাজি নামক স্থানে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আবুল কালাম, সিদ্দিক মোল্লা, আইয়ুব খানের স্ত্রী, টুলু মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সূর্যোগ গ্রামের আইয়ুব খান দাবী করেন ২০০৫ সালে নুরুল ইসলামের কাছ থেকে চরবনমালীপুর মৌজার ৬০নং দাগের ১১৬ শতক জমি ক্রায় করেন নুরুল ইসলাম কাছ থেকে। ওই জমি তিনি অদ্যবদি লিখে দেননি। ওই জমি ক্রায় করার পর পুকুর কেটে মাছ চাষ করে আসছে আইয়ুব খান। ওই পুকুরে গত শনিবার আইয়ুব খান খেপলাজাল দিয়ে খাওয়ার জন্য মাছ ধরলে। নুরুল ইসলামের স্ত্রী আসমাউল হুসনা বাদি হয়ে গত রবিবার স্থানীয় থানায় আইয়ুব খানকে প্রধান আসামী করে অভিযোগ দেন।
অপরদিকে চর বনমালী পুর গ্রামের মো: রজব আলীর কাছে ২০০৫ সালে একই মৌজার ৪৪ ও ৪৬ নং দাগের ৫৭ শতাংস জমি বিক্রয় করেন নুরুল ইসলাম। ওই একই জমি ২০০৬ সালে কলিমাঝি গ্রামের মো: হাবিবুর রহমানের কাছে ৪৪,৪৬ নং দাগের ৫৭ শতাংস জমি বিক্রয় করে নুরুল ইসলাম। পরবর্তিতে লিখে না দিয়ে তাদের সাথে তাল বাহানা করতে থাকে। গত ২০২২ সালে তিনি উল্লেখিত সম্পত্তি কৌশলে তার স্ত্রী আসমাউল হুসনার নামে লিখে দেন। জমি ক্রায় করার পর জমিতে মেহেগনী গাছ লাগান রজব আলী। ওই জমির গাছ ২০২৩ সালে বিক্রি করলে নুরুল ইসলামের স্ত্রী আসমাউল হুসনা রজব আলী গংদের নামে মামলা করেন।
মাছ মারার মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম লিটনকেও আসামি করা হয়।
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মহেষ অধিকারী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে।
আসমাউল হুসনা বলেন, আপনারা সাংবাদিক তদন্ত করে সত্য যেটা সেটা লেখেন।