1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
আওয়ামীগের আমলে ৩৮টি মামলা - চেয়ারম্যান সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র - dailynewsbangla
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বাবা মায়ের কবরের পাশে শায়িত: বগুড়া-৩ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মোমিন তালুকদারের দাফন সম্পন্ন ভেড়ামারায় কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বাংলাদেশ স্কাউটস, ভেড়ামারা উপজেলা ত্রৈ-বার্ষিক কাউন্সিল ২০২৫ দৌলতপুরে মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু দৌলতপুরে চাঁদা না পেয়ে ইন্টারনেট সংযোগ ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল কর্তন বগুড়ায় দুই ট্রাক ওভারটেকিং করতে গিয়ে হেলপার নিহত বগুড়ায় বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত আওয়ামীগের আমলে ৩৮টি মামলা – চেয়ারম্যান সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নওগাঁয় ক্লুলেস খুনের রহস্য উদঘাটন হত্যাকান্ডে জড়িত ৩ জন গ্রেফতার দশমিনা উপজেলায় রাখালের ভাইকে বেঁধে মহিষ চুরি

আওয়ামীগের আমলে ৩৮টি মামলা – চেয়ারম্যান সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫
আওয়ামীগের আমলে ৩৮টি মামলা  চেয়ারম্যান সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
বোয়ালমারী প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একটি মহল। স্থানীয় রাজনীতিতে তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে চক্রটি এমন কোন চক্রান্ত নেই যা তারা করছে না সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে। সমাজে তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও অর্থনৈতিক ভাবে ঘায়েল করতে মিথ্যা মামলায় জড়ানো,গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে কাল্পনিক তথ্যে কুরুচিপূর্ণ লেখালেখি আর  চরিত্র হরনের নোংরা খেলা। বি এন পি পরিবারের সন্তান হলেও নিজে কোন  রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় এখন তাকে আওমীলীগ আর ডিবি হারুনের সহযোগী  ট্যাগ লাগিয়ে হেনস্তা করার পায়তারা করছে দুষ্ট চক্রটি। অথচ ওই একই চক্রটি আওমী শাসন আমলে বি এন পি-জামাত ট্যাগ লাগিয়ে সোনা মিয়া কে একের পর এক মামলায় জড়িয়ে নাজেহাল করেছে। বলা হচ্ছে,বহুলালোচিত সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ছত্র ছায়ায় থেকে সোনা মিয়া অবৈধ ভাবে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অবৈধ-অনৈতিক ব্যবসা বাণিজ্য করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন,বানোয়াট ও কল্পনা প্রসূত বলে দাবী ভুক্তভোগী ও তার অনুসারীদের।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,রুপাপাত ইউনিয়নের কদমি গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক পরিবারে জন্ম মিজানুর রহমান সোনা মিয়ার। বাবা মরহুম আবুল হোসেন মিয়া ছিলেন রুপাপাত ইউনিয়ন বি এন পির সাধারণ সম্পাদক। পেশায় তিনি ছিলেন স্থানীয় পর্যায়ের একজন শীর্ষ পাট ব্যবসায়ী। সোনা মিয়া নিজে বাবার সঙ্গে রাজনীতি না করলেও পিতার অবর্তমানে তার এই রাজনৈতিক পরিচয় সোনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। বি এন পি পরিবারের সন্তান হবার কারণে স্থানীয় রাজনীতির চাপে এক সময়  এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান মিজানুর রহমান। পরিবার,আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতা আর ব্যাংক ঋনে সেখানে যুক্ত হন পরিবহন ও গার্মেন্টস খাতের বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে। পাশাপাশি নিজ গ্রামে গড়ে তোলেন মাঝারি আকারের একটি গরুর খামার। আর বৈধ এ সব ব্যবসার মাধ্যমেই এক সময় জীবনে সাফল্য ধরা দেয় সোনা মিয়ার। বিনিময়ে সোনা মিয়া স্বাচ্ছন্দময় জীবন কাটালেও কোন অস্বাভাবিক বিত্ত-বৈভব তাকে স্পর্শ করেনি। নিজ গ্রামে সাদা-মাঠা ঘর-বাড়ি ছাড়া এলাকার বাইরে তার কোন সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
 অনুসন্ধান কালে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, রুপাপাত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অধ্যূসিত একটি জনপদ। সোনা মিয়া নিজে কোন রাজনৈতিক দল বা গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলেও কেবল বি এন পি পরিবারের সন্তান হবার কারণে আওয়ামীলীগ আমলে তাকে ব্যাপক হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। বর্তমানে তাকে আবার লীগ আর ডিবি হারুনের সহযোগী  ট্যাগ দিয়ে হয়রানির পায়তারা চলছে। সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে বড় অস্ত্র হলো-অপপ্রচার। তিনি কালো টাকার মালিক,অবৈধ ব্যবসায়ী ইত্যাদি অপপ্রচার চালিয়ে তাকে ঘায়েলের চেষ্টা চলছে।বাস্তবে যার কোন ভিত্তি নেই। সমাজে সত্য, ন্যায় ও হকের পক্ষে থাকার কারণে তার শত্রু বেশি বলে অভিমত সূত্রগুলোর।
  রুপাপাত ইউনিয়ন বি এন পির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলু মিয়া,বি এন পির প্রবীণ নেতা অরুণ মন্ডল, মোঃ মফিজুর রহমান আক্কাস ও মোঃ ইদ্রিস ফকির বলেন,সোনা মিয়ার বাবা রুপাপাত ইউনিয়ন বি এন পির প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। সে কারণে আওয়ামী সরকারের আমলে সোনা মিয়া সহ স্থানীয় বি এন পি নেতাকর্মীরা ব্যাপক দমন-পীড়নের শিকার হন। সোনা মিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও স্থানীয় বি এন পি নেতাকর্মীদের নেপথ্যের ত্রানকর্তা ছিলেন তিনি। তাদের রাজনৈতিক,পারিবারিক,মামলা-মোকদ্দমা সহ সকল বিপদ-আপদে পাশে থেকেছেন সোনা মিয়া। তার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা মূলত দালাল ও টাউট শ্রেনির লোক। আওয়ামীলীগ আমলেও তারা সুবিধা নিয়েছে বর্তমানেও নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিস্তার করছে। আলোচনা কালে ইউ,পি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়া বলেন,আমি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। স্বতন্ত্র পরিচয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে রুপাপাত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। তারপরও বিএনপি পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের শাসনামলে আমার নামে ৩৮টি মামলা দেওয়া হয়।কেড়ে নেয়া হয় আমার চেয়ারম্যান পদ। যদিও পরে তা ফিরিয়ে দেয়া হয়। ঐ সব মামলা-মকদ্দমার সূত্র ধরেই তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলে আমি মাঝে-মধ্যেই তার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতাম। এর বাইরে তার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। অথচ প্রচার চালানো হচ্ছে,আমি নাকি হারুনের ম্যানেজার-ক্যাশিয়ার ইত্যাদি ছিলাম। তার তত্ত্বাবধানে থেকেই আমি নাকি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছি? ভিত্তিহীন ও মনগড়া এসব তথ্য প্রচার করে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা ছাড়াও প্রশাসনিকভাবে হেনস্তার চেষ্টা চলছে। এরই অংশ হিসাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ডিবি হারুনের সহযোগী ট্যাগ লাগিয়ে একটি মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। যা খুবই দূঃখ জনক। সোনা মিয়া বলেন,ষড়যন্ত্রকারীদের অপপ্রচারের মুখে ২০১৯ সালে আমার সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধানে নামে দুদক। সে সময় আমার স্থাবর-অস্থাবর মিলে মোট ২ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার সম্পদ পায় তারা। এর মধ্যে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা সিসি লোনের। তখন আমার বা আমার পরিবারের সদস্যদের নামে ব্যাংক একাউন্টে কোন টাকা পাওয়া যায়নি। এখনও নেই। অথচ প্রচার করা হচ্ছে,আমি নাকি ডিবি হারুনের ছত্রছায়ায় ছিঁচকে চোর থেকে অবৈধ পথে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছি।  তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন,যার বাবা একজন সুনামধন্য রাজনীতিক,প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী তার সন্তান কি ছিঁচকে চোর হতে পারে? সমাজে আমাকে খাটো করার উদ্দেশ্যেই সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এমন নিচু,অশালীন শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান সোনা মিয়া বলেন,আমি ও আমার পরিবার যদি এতটাই খারাপ হবে তবে আওয়ামীলীগের শাসনামলে নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে এত মানুষ আমাকে কেন ভোট দিয়ে ইউ,পি চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলো? আসলে আমার জনপ্রিয়তাই ওদের এলার্জির মূল কারণ। এই নোংরামি,ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রুপাপাত ইউনিয়ন সহ গোটা দেশবাসীর সুদৃষ্টি ও  সহানুভূতি  কামনা করেন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনামিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ