মো.বেল্লাল হোসেন, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখালী উপজেলায় সোমবার দিবাগত রাতে মাতুয়া সম্প্রদায়ের ২২ ঘর চুরির ঘটনা ঘটে।
উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ড আউলিপুর গ্রামে ২২ ঘর চুরি ঘটনায় মাতুয়া সস্প্রদায় সর্বস্বহারিয়ে নিঃশ্ব ।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে দেড়মাস পূর্বে মতুয়া সম্প্রদায় ও কৃষ্ণ ভক্তদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় ঐ ঘটনায় কৃষ্ণ ভক্তদের একজন মারা যায়। এতে করে দশমিনা থানায় মামলা হয় তার পর থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের পরিবারে পুরুষ শুন্য। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার দিবাগত রাতে মতুয়া সম্প্রদায়ের ২২ পরিবারে লোক জন রাত ১২-১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে যায়। ফজরের আযানের সময় মতুয়া সম্প্রদায়ের উত্তম চন্দ্র হাওলাদার প্রকৃতির ডাকে ঘরথেকে বরে হলে দেখে সামনের দড়জা খোলা ঘরের মালামল এলোমেলো পরে আছে তারপর চিৎকার করলে পাশের ঘরের লোক জন ঘুম থেকে উঠে দেখে সকলের একই অবস্থা। ২২ পরিবারের দাবি ঘরের মধ্যে থাকা নগদ টাকা, স্বর্নলাংকার ও থালা-বাটি নিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনী সদস্য ও স্থানীয় লোক জন আসে।
উত্তম চন্দ্র হাওলাদার বলেন জানিনা কি দিয়ে কি হয়ে গেলো। এক সাথে এতগুলো ঘরচুরির ঘটনা দশমিনায় এই প্রথম। কোন একটি দক্ষচক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা কোন লোক আলাপই পাইনি। আমি যখোন ঘুম থেকে সজাগ হই তখোন দেখি আমার ঘরের সামনের দড়জা খোলা ঘরের আলমিরার লক ভাঙা কোন স্বর্নলংকার নেই। এরকম সকল পরিবারের একই অবস্থা। তারা আরো বলেন দশমিনা থানা পুলিশের আগের মতো টহল না থাকায় প্রতিদিনই কোন না ঘটনার সৃস্টি হচ্ছে যার ভুক্তভোগী হালাম আমরা ২২ পরিবার। আমরা আইনের আশ্রয় নিবো।
ভূক্তভোগী বকুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন আমাদের মাতুয়া সম্প্রদায় ও কৃষ্ণ ভক্তরের মধ্যে কিছুদিন আগে মন্দির দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় কৃষ্ণ ভক্তের একজন মারাযায় ঐ মামলায় মতুয়াসম্প্রদায়ের পরিবারে পরুষ শুন্য দীর্ঘদিন। তাই এই সুযোগে বড় একটি চক্র চুরির ঘটনা ঘটায়। তিনি আরো বলেন আমাদের বিরোধকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় কোন পক্ষ এ কাজ করেছে। এরা খুবই শক্তিশালী তা না হলে একই রাতে ২২ ঘর চুরির ঘটনা দশমিনা উপজেলা সৃষ্টির ইতিহারে প্রথম। দশমিনা উপজেলা প্রশাসনের কাছে আমরা এর নিরাপেক্ষ তদন্ত স্বপক্ষে বিচার দাবি করছি। কৃষ্ণ ভক্তের স্বপন জানান, এটি একটি চক্রে কর্মপরিকল্পনা। তা না হলে এক সাথে এমন ঘটনার উদ্ভব হবার না। দশমিনা থানা পুলিশ নিরব থাকায় দৈনিক কোন না কোন ঘটনার স্বীকার হচ্ছে দশমিনার সাধারণ মানুষ। এতবড় ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরাপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওয়াতায় আনার দাবি জানাই।
রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর ০৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অসিম সমাদ্দার বলেন গত দেড় মাস আগে একই গ্রামের মতুয়া সম্প্রদায় ও কৃষ্ণ ভক্তদের মধ্যদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সাংঘর্ষ হয় ঐ ঘটনায় কৃষ্ণ ভক্তদের একজন মারা যায়। এতে মামলা হওয়ায় মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে পুরুষ শুন্য এই সুযোগে চুরির ঘটনা ঘটে। সকালে ঘটনার বিষয় জেনে ঘটনাস্থলে যাই সেখানে ভুক্তভোগীদের কথা শুনে চেয়ারম্যানকে জানাই। এ চুরির ঘটনা কোন ছোট বিষয় না এর সাথে স্থানীয় ও অন্য উপজেলার লোক জড়িত আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা না থাকায় এত বড় চুরির ঘটনা ঘটেছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান, ঘটনার বিষয় আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।