1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
ষ্টিল চিনামাটি ও প্লাষ্টিক তৈরিতে বিলুপ্তির পথে মাটির তৈরি আসবাবপত্র - dailynewsbangla
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
রাত ও দিনভর ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত রাত ও দিনভর ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত নওগাঁর নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের  মতবিনিময় সভা আত্রাই উপজেলার ভাবানীপুর নন্দনালীতে বিয়ের একদিন পর স্বামী হারালেন নববধূ ইউএনও’র নাম ভাঙিয়ে ৩১ টন চাল আত্মসাতের চেষ্টা রক্ষক যখন নিজেই ভক্ষক বগুড়া বেকারত্ব মোচনে কাজ করছেন ঐতিহ্যবাহী  আকবরিয়া হোটেল বগুড়ায় ২ শহীদ পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান প্রদান করলেন জামায়াত বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার বগুড়া গাবতলীতে জিয়াবাড়ি পরিদর্শন করলেন  নবাগত — জেলা প্রশাসক বগুড়া    ধামইরহাটে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন

ষ্টিল চিনামাটি ও প্লাষ্টিক তৈরিতে বিলুপ্তির পথে মাটির তৈরি আসবাবপত্র

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০
ai

মাহাবুব আলম রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে জীবন জীবিকার তাগিদে সভ্যতার আদি যুগ থেকে মানুষ মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস প্রস্তুত করতে শিখেছে। এসব মাটির শিল্পকে যারা টিকিয়ে রেখেছে তাদের কে বলা হয় কুমার। দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রমে তারা মাটি দিয়ে তৈরি করছে নান জিনিস পত্র। অথচ আশ্চার্য্য হলেও সত্য এসব কুমারের আজ হাড়িতে চাল নেই, সংসার জীবনে নিভু নিভু করছে প্রদীপ। পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্দাহারে কাটছে বছরের বেশীরভাগ দিন। তবু টিকে রেখেছে মাটির শিল্প। সৃষ্টিশীল এসব কাজ সংস্কৃতির বিচারে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ এসব কাজ একটি জাতির চিন্তাশক্তি ও সৃজনশীল প্রতিভার পরিচয় বহন করে। তথাপি এদেশের কুমারদের জীবন জীবিকা অত্যন্ত নিম্নমানের। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এসব আসবাবপত্র তৈরি করে কুমারেরা যে দামে বিক্রি করে তা দিয়ে নুন আনতে পানত্ ফুরায়। ফরে সংসারের অভাব অনটন লেগে থাকে সারা বছর। দারিদ্রতা ও অসহায়ত্ব বিবেচনায় রেখে এদেশের অনেক গরীব ব্যক্তিকে সরকার নান সহায়তা দিলেও মাটির শিল্পকে বাঁচাতে কুমারদের কোন সহায়তা দেওয়া হয় না। ফলে বিলুপ্তির পথে আজ বাংলার ঐতিহ্য বাহী মাটি শিল্প। তথাপি কুমারদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দৃষ্টি পড়ছে না কখনই। ৭০/৮০ বছর বয়সী অনেক বৃদ্ধ কুমার কুমারী চোখের জ্বলে বর্ণনা দেয় তাদের অসহায়ত্বের কথা।

তারা জানায় এ শিল্পের কাজে জীবন উৎসর্গ করলেও মূল্যায়ন পায়নি কোনদিন। অনেকে জীবন বাঁচানোর তাগিদে বেছে নিয়েছে অন্য পেশা। শুধু জীবনের ঘানি টানার দৃষ্টিতে দেখছে সকলেই। প্রযুক্তিগত ভাবে মাটি শিল্পকে উন্নত করার চিন্তা ও আগামি প্রজন্মের জন্য বাংলার সোনার মাটির পণ্য ঐতিহ্যগত ভাবে প্রতিষ্ঠান কোন পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তবে আজও মাটির তৈরি পণ্য অনেক সমাদৃত। ব্যবহারও হয় অনেক গৃস্থালি কাজে। শুধু প্রয়োজন এতটুকু উদ্যোগ ও একটু চেষ্টা। তাই এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হত দরিদ্র এসব কুমার কুমারীদের রাষ্ট্রীয় ভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে সচেতন মহল জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ