দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত বাবুল আক্তার (৫২) নামে এক বিএনপি নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
নিহত বাবুল আক্তার ঢাকা বাড্ডা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ছিলেন এবং হামলাকারী আলম হোসেন পিয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক বলে যানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া বাজারে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে বাবুল আক্তার ও সোহাগ হোসেন নামে দু’জন গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
দীর্ঘ ৯ দিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে আজ বাবুল আক্তারের মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষের ঘটনার পর ওই রাতে বাবুল আক্তার নিজেই বাদী হয়ে থানায় মাদিয়া এলাকার বিএনপি নেতা আলম ও নবীর সহ আরোও ৭-৮ জনকে আসামি করে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
তার মৃত্যুর পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিস্থিতি যাতে আরও উত্তপ্ত না হয়, সে জন্য ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোলায়মান শেখ জানান, “সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। এখন বাবুল আক্তারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।