1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
দশমিনার আছিয়া বেগমের ৮২ বছর বয়সেও মেলেনি বয়স্ক ভাতা - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
নৌকার গণজোয়ার তুলতে দিনব্যাপী নাগরপুর দেলদুয়ারে ব্যস্ত জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু মোহনপুরের আলোচিত শিশু আয়েশা হত্যার দায় স্বীকার করলো মা!! রাজশাহীর বাগমারায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন সামাজিক বনায়ন প্রশিক্ষণ কর্মশালার  উদ্বোধন করলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ভোদন স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি- অসুস্থ বৃদ্ধর গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা দৌলতপুরে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন যুবলীগ সভাপতি টোকেন চৌধুরী সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ‍্যাড. গৌতম চক্রবর্তীর ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে নাগরপুর উপজেলা বিএনপি বিএনপি দেশের শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়: শিক্ষামন্ত্রী রাজশাহীর মোহনপুরে ৩৬ দিনের শিশুকে হত্যা টাকার বিনিময়ে যুবলীগ কর্মীকে নাশকতার মামলা দিলো পুলিশ

দশমিনার আছিয়া বেগমের ৮২ বছর বয়সেও মেলেনি বয়স্ক ভাতা

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২১
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিন রনগোপালদী গ্রামের মৃত্যু মোহাম্মদ হাওলাদারের স্ত্রী আছিয়া বেগম।

দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিন রনগোপালদী গ্রামের মৃত্যু মোহাম্মদ হাওলাদারের স্ত্রী আছিয়া বেগম(৮২)। সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী আছিয়া বেগম বিধবা ভাতা পাওয়ার দাবিদার, কিন্তু ভাগ্যে আজও মেলেনি সরকারি ভাতা। অথচ ৪৫বছর ধরে চেষ্টা করেও কোনো ভাতা পাননি তিনি। অনেকের পেছনে পেছনে ঘুরেছেন ভাতার জন্য। আছিয়া বেগমের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিন রনগোপালদী ৩নং ওয়ার্ডের গ্রামে।

তিনি মৃত্যু মোহাম্মদ হাওলাদারের স্ত্রী। শনিবার বিকালের দিকে তার নিজ বাড়ির সামনেই দেখা মিলে আছিয়া বেগমের ওই এলাকায়। বয়সের ভারে তার কোমর বেঁকে গেছে। কুঁচকে গেছে গায়ের চামড়া। একই গ্রামের মেয়ে জামাই বাড়িতে আশ্রায় নিয়েছেন তিনি। আছিয়া বেগম বলেন , আমার বয়স অইছে, খাটাখাটনি করতে পারিনা, শরিলে অসুখ-বিসুখ ধরছে। টাহার অভাবে ভালো ডাক্তারও দেহাইতে পারিনা। আমার ছোট মেয়ে মাইনসের বাসায় কাজ করে অভাবের সংসার এভাবে রোজগার করে দুইবেলা দুইমুঠ ভাত জোগার করে ,তা দিয়া কোনমতে খাই।

এই বৃদ্ধা আরো বলেন, সরকারে বলে ভাতার কার্ড দেয়। কই আমি তো বুড়া থুরথুরা অইয়া গেছি আমারে তো দ্যায়নি। তিনি কান্নাকন্ঠে আরও বলেন,আমি মরে যাবার আগে পাবো কি সরকারি ভাতা। আছিয়ার মেয়ে পারভিন জানান, অনেকেই কার্ড করে দিতে চেয়েছেন কিন্তু বিনিময়ে টাকা চেয়েছেন। টাকা দিতে না পারায় কোনো সরকারি সুবিধা আমি পাইনি । তিনি আরো বলেন, বাবা মরে যাওয়ার পর থেকে ভাই কোন খোঁজখবর নেয়নি।

এ বিষয়ে প্রতিবেশিদের কাছে আছিয়া বেগমের অসহায়ত্বের কথা জানতে চাইলে তারা বলেন,বয়সের ভারে মানুষিক ভারসাম্য ক্রমশই হারিয়ে ফেলছেন তিনি, একমাত্র ছেলেরা খোজ খবর না নেয়ায় মেয়ের কষ্ট করা রুজিরোজগারের মধ্যে ভাগ করে খেতে হয়। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্ম ১৯৩৮ সালের ৮ ই ফেব্রুয়ারি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৬২ বছর বয়সে তার বয়স্ক ভাতা পাওয়ার কথা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস জানান, বয়স্ক ভাতার ব্যপারে আমার কোন হাত নেই,উপজেলা চেয়ারম্যান দায়িত্বরত রয়েছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বয়স্কভাতা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজীজ জানান, ঘটনাটি দু:খ জনক পরবর্তিতে নতুন নাম আসলে তাকে বয়স্কভাতা দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ