1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নিরাপত্তাহীনতায় চলছে রাজশাহী সজীব গ্রুপ প্রতিষ্ঠান - dailynewsbangla
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ফিলিপনগরে পাঁচ হাজার গাছের চারা বিতরণ করলেন পি.এস.এস. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মুহাম্মাদ খাজা আহমেদ ভেড়ামারায় ১৬ই জুলাই শহীদ দিবস পালিত  ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন পাষণ্ড সন্তান লালপুরে সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান: গাঁজা গাছসহ বাবা-মেয়ে আটক। ঘোড়াঘাট পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা ঠাকুরগাঁওয়ে ন্যায়কুঞ্জ ও তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন বিচারপতি রূপগঞ্জ পূনর্গঠনের ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বোয়ালমারীতে বিক্ষোভ সমাবেশ     বোয়ালমারীর চতুল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না ভেড়ামারায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নিরাপত্তাহীনতায় চলছে রাজশাহী সজীব গ্রুপ প্রতিষ্ঠান

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

মাজহারুল ইসলাম চপল, ব্যুরো চীফঃ সারাদেশ আতঙ্কিত ও আলোচিত নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে সদ্য ঘটে যাওয়া সজীব গ্রুপ প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ডে। এই ঘটনায় দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে যেন বেদনার দাগ কাটছে। এখন সকলেরই দৃষ্টি এই গ্রুপের অন্যান প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে। এই গ্রুপের এমনই প্রতিষ্ঠান রয়েছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের চব্বিশনগর এলাকায়।

হাসেম এগ্রো প্রসেসিং লিঃ ও হাসেম অটোরাইস মিলস্ লিঃ। এই এলাকাতে দীর্ঘদিন থেকে কোম্পানি দুটো নির্বিঘ্নে কাজ করে আসলেও বর্তমানে তা প্রশ্নবিদ্ধ। আগে থেকে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও অলৌকিক ক্ষমতায় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সচেতন মহল ও প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকদের একটি অনুসন্ধানী টিম যায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে অবস্থিত সজীব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে।

প্রতিষ্ঠানটির কাছে যেতেই অভিযোগের ফুলঝুড়ি নিয়ে হাজির সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা। সুকৌশলে জানার চেষ্টা করা হয় তাদের দুর্দশার কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক বলেন, ভেতরে শিশুশ্রম চলছে নির্বিঘ্নে, সেখানে যে জুস তৈরি হচ্ছে তা পচা ও ভাল আম মিশ্রিত। এছাড়াও সেখানে শিশুদের খাটিয়ে পারিশ্রমিক দিচ্ছে যথসামান্য। সেখানে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনিবারক যন্ত্র পর্যাপ্ত নাই। যেটা আছে তা শুধু নাম মাত্র।

অথচ শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করার কথা কলকারখানা পরিদর্শন ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের। তাদের কোন ভুমিকা নেই। এদিকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৮-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

কেউ যদি শিশু শ্রমিক নিয়োগ করে, তাহলে ঐ প্রতিষ্টানকে অর্থদণ্ড করা হবে। তবে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কিশোররা হালকা কাজ করতে পারবে। কিন্তু রাজশাহীতে অবস্থিত সজীব গ্রুপের উক্ত প্রতিষ্ঠানে চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা। শ্রমিকদের নিরাপত্তায় নেই কোন উপযুক্ত সরঞ্জাম।

প্রশ্ন উঠেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে। শ্রমিকদের অধিকার খর্বসহ নানাবিধ সমস্যা থাকলেও যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেজান জুস কারখানায় কাজ করছে শতাধিক শিশু। এই শিশুদের বেশিরভাগ ১০ বছরের মধ্যে। আবার তারা নোংরা পরিবেশে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও পাচ্ছেন না নায্য মূল্য।

নেই কোন সাপ্তাহিক বন্ধের দিন। এছাড়াও কারখানাটিতে ইলেকট্রিক চুল্লি থাকার কথা থাকলেও সেখানে জুস তৈরি হচ্ছে লাকড়ি বা খড়ির খড়ির আগুনে। প্রশ্ন রয়েছে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে কাজ করা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়ে। দেখার মত কোন কার্যক্রম নেই কোন প্রতিষ্ঠানের।

মিডিয়ার অনুসন্ধানী টিম শত চেষ্টা করেও কারখানার ভিতরে ঢুকতে পারেনি। মিডিয়াকর্মীরা গেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজার ফোন বন্ধ করে দেয়, এবং লোক মারফত বলতে বলে ম্যানেজার নাই। তবে গেটে কয়েকটি শিশুকে দেখা যায়। পরে রাইস মিলের গেটে গেলে, সেখানে দায়িত্বরত এ্যসিন্ট্যান্ট ম্যানেজার সোহাগ জানান, আমাদের সব ঠিক আছে কিন্তু ভিতরের ঢোকার অনুমতি নাই।

বিষয়টি নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে জানা যায়, রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর এখন অসুস্থ্য। দায়িত্বরত উপ-পরিচালক (ডিডি) তিনি রয়েছেন মাতৃকালীন ছুটিতে, সহকারি পরিচালক (এডি) করোনা আক্রান্ত। আর অফিস লকডাউনে বন্ধ।

পরবর্তিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ- মহাপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ভুইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সেখানে শিশু তো থাকার কথা নয়, আমি ১০ জুলাই কারখানাটি পরিদর্শন করেছি। তবুও আমরা গুরুত্বসহকারে দেখবো। তিনি আরও বলেন, ১৪ বছরের উপরে কেউ শিশু আইনে পড়ে না।

শিশুদের অধিকার খর্ব হচ্ছে বললে তিনি বলেন, আমাদের কেউ অভিযোগ দেয়নি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন নেই কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন এরুপ হওয়া কথা নয়। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কাজ করছেন শ্রমিকরা প্রশ্ন করছে উপ-মহাপরিদর্শক বলেন, সেখানে কাজের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কথা। তারপরও ঈদের ছুটি কাটলে আবার পরিদর্শন করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ