1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
বিগত দিনকে পিছনে ফেলে বর্তমান সময়ে কৃষি প্রযুক্তি আধুনিকতার ছোঁয়াই বেড়ে চলেছে। - dailynewsbangla
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দৌলতপুরে অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার মহাদেবপুর ও বদলগাছী‌তে ‌দিন ব‌্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনু‌ষ্টিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর শুভ উদ্ধোধন ও সমাপনী বোয়ালমারীতে দুই মাদক কারবারী আটক বোয়ালমারীতে প্রাণিসম্পদ সেবা দায়সারা আয়োজন বোয়ালমারীতে সরকারী অফিসে ঢুকে মারধর ভাংচুরের ঘটনায় দুই যুবকের নামে মামলা দৌলতপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রাণী প্রদর্শনীর উদ্বোধন প্রাণিসম্পদে নানামুখী আধুনিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই মেলার আয়োজন। -আকাশ কুমার কুন্ডু  কুষ্টিয়ায় পানিতে ডুবে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু মহাদেবপুরে পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে  বিষ প্রয়োগে চার বিঘা জমির ধান পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

বিগত দিনকে পিছনে ফেলে বর্তমান সময়ে কৃষি প্রযুক্তি আধুনিকতার ছোঁয়াই বেড়ে চলেছে।

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মোঃ বেল্লাল হোসেন:  নিঝুম রাত শেষে মুরগির আর কাক ডাকা ভোরে কৃষকরা গরু, লাঙ্গল, জোয়াল নিয়ে হালচাষ করার জন্য বেরিয়ে যেত সোনালী মাঠের জমিতে। আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই কৃষি ছোঁয়ায় পরিবর্তন দেখা যায় বেশ।

এ কারণে পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় সকালবেলা কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল আর জোড়া গরু কৃষকদের দড়ি হাতে নিয়ে মাঠে যেতে দেখা যায় না। তাই এ উপজেলা থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলার রূপের কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হাজার বছরের কৃষি উপকরণের সঙ্গি লাঙ্গল-জোয়াল, ও গরু।

দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দীর্ঘ ৩৫ বছরের হাল-চাষে পরিশ্রমি কৃষক লাল মিয়া বলেন, চাষের জন্য দরকার ছিলো এক জোড়া বলদ, কাঠের তৈরি লাঙ্গল, বাঁশের তৈরি জোয়াল, মই, লরি (বাঁশের তৈরি গরু তাড়ানোর লাঠি) গরুর মুখের টোনা ইত্যাদি । আগে গরু দিয়ে হালচাষ করলে জমিতে ঘাস কম হতো।

অনেক সময় গরুর গোবর জমিতে লাগতো, এতে করে জমিতে অনেক জৈবসার হতো ফলে ক্ষেতে ফলন ভালো হতো। আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে হাল চাষের পরিবর্তনে এখন ট্রাক্টর এবং (ট্রলির ) নাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা হয়। এক সময় উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কৃষক গরু পালন করতো হাল চাষ করার জন্য। আবার কিছু মানুষ গবাদিপশু দিয়ে হাল চাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।

এখন আর চোখে পড়ে না গরুর লাঙ্গল দিয়ে চাষাবাদ। ধান রোপা থেকে ফসল ঘরে তোলা সবই মেশিনের কাজ। আগের মতোন পরিশ্রম করতে হয়না। কৃষক মোসলেম মহল্লাদার বলেন, আমার বাব-দাদার আমল থেকে কৃষি জমিতে চাষাবাদ করতাম লাঙ্গল আর হালের বলদ দিয়ে এখান আর তার প্রয়োজন হয়না কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিস্কারের ফলে কৃষিতে ফসল উৎপাদন পরিধি সিমিত হয়ে গেছে।

শখ করে ৫-৬টি মহিষ লালন পালন করি। এ বছর প্রায় ২-৩ একর জমি ধানের জন্য চাষাবাদ করেছি তা ট্র্যাক্টর দিয়ে। সময় কম লেগেছে। দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃসিবিদ মোঃ আবু জাফর আহম্মেদ বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্য সোনালী প্রান্তর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে একসময় কালের হাল চাষ।

এখন নতুন নতুন আধুনিক বিভিন্ন মেশিন এসেছে, সেই মেশিন দিয়ে এখানকার লোকজন জমি চাষাবাদ করে। তাই গরু, মহিষ, লাঙ্গল, জোয়াল নিয়ে জমিতে হাল চাষ করা এখন আর নেই । এক সময় গরু-মহিষ, লাঙ্গল ও জোয়াল ছিল আমাদের ঐতিহ্য ও পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতি । তাঁই বিগত দিনকে পিছনে ফেলে বর্তমান সময়ে কৃষি প্রযুক্তি আধুনিকতার ছোঁয়াই বেড়ে চলেছে। আগামীতে কৃষিতে আরও পরিবর্তন আসবে যা কৃষকদের কৃষি কজে সময়ের অপচয় হবেনা এবং শ্রম কম লাগবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ