1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
শিমের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক খুশি - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি নির্বাচন ঘোড়াঘাটে শিক্ষকদের মনোনয়ন ফরম উত্তোলন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা ও পরিচিতি সভা বোয়ালমারীতে পিস্তল উদ্ধার  ভেড়ামারায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যম্পইন উদ্বুদ্ধ করণ  সভা দৌলতপুরে দাড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ ভেডামারা সরকারি মহিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার পিলার ঘিরে করা হয়েছে সিএনজি স্ট্যান্ড লালপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ডাক বিভাগের দাপ্তরিক কার্যক্রম দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে প্রথমবারের মতো উপজেলা পর্যায়ে অর্থোপেডিক অপারেশন সম্পন্ন ভেড়ামারায় ৩১ দফা কর্মসুচী বাস্তবায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা

শিমের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক খুশি

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১

মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: শস্যভান্ডার হিসাবে খ্যাত নওগাঁর শিম এখন জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলাতে সরবরাহ হচ্ছে। সবুজ পাতার মধ্যে লকলক করছে শিমের শীষ। আর শীষে ধরে আছে বেগুনি ও হালকা সাদা রঙের ফুল। কিছু কিছু শীষে উঁকি দিচ্ছে শিম। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রথম দিকেই শিমের ভালো ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষক ও লাভবান হচ্ছেন তারা।

কৃষকেরা জানান, শিম চাষের জন্য বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। সংরক্ষন করা বীজ আগাম গ্রীষ্মকালিন শিম চাষে ব্যবহার করেন। আগাম শিম চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা প্রতি বছরই চাষ করে থাকেন। শীতকালিন আগাম শিম ফলনে কম হলেও বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। প্রতি কেজি শিম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।

প্রথমে ফলন একটু কম হলেও, পরবর্তীতে ফলন বেশি হয়। যখন ফলন বেশি হয় তখন আর আগের মতো দামও পাওয়া যায়না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আগাম জাতের সিম চাষ হয়েছে ৭শ হেক্টর জমিতে। আগাম জাতের সিমের মধ্যে কার্তিকা, কাজলা ও চালতা নামে পরিচিত।

সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর গ্রামের শিম চাষী খায়রুল আলম বলেন, তিন দিন আগে জমি থেকে ৮ কেজি শিম তুলেছেন। পাইকারি বিক্রি করেছেন ১০০ টাকা কেজি। বাজারে শিমের পরিমাণ সরবরাহ কম হওয়ায় দামও তুলনামূলক বেশি। ভালো দামের আশায় আগাম জাতের শিমের আবাদ করা হয়।

মহাদেবপুর উপজেলার ঈশ^রপুর গ্রামের কৃষক মাসুদ রানা বলেন, ৬ কাঠা জমিতে এবার আগাম শিমের আবাদ করেছেন। গাছে ভাল শিম ধরেছে এবং বাজারে দামও ভাল। প্রতি কেজি সিম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরকম দাম থাকলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। কেশবপুর গ্রামের শিম চাষী সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার তিনি ৮কাঠা জমিতে ভাদ্ধসঢ়র্;রা শিমের আবাদ করেছেন।

এ পরিমাণ জমিতে শিমের আবাদ করতে তার প্রায় বাঁশ চার হাজার টাকা, নিড়ানি খরচ এক হাজার, ঔষধ ৯শ টাকাসহ প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আগাম জাতের সিম পাবো বলে জৈষ্ঠ্য মাসে লাগানো হয়েছে। ভাদ্র থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত শিম উঠানো হবে। প্রথম দিকে শিম সাড়ে তিন থেক চার হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়। যখন শিম উঠা শুরু হয় তখন দাম একটু কম হয়। তারপরও সর্বনিম্ন ৪শ থেকে ৫শ টাকা মণ বিক্রি হয়।

প্রতি সপ্তাহে একমণ করে শিম উঠবে। সে হিসেবে মাসে চার মণ। আর দাম পাওয়া যাবে প্রায় ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জেলায় রেকর্ড পরিমান জমিতে শিম চাষ হয়েছে।সবচেয়ে বেশি সদর উপজেলার বর্ষাইল, র্কীত্তিপুর ও বক্তারপুর ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণ সবজির আবাদ হয়ে থাকে।

এটি একটি লাভজনক ফসল। আগাম শিমের আবাদ করায় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। এছাড়াও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে শিম চাষীদের সব ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ