জাহিদুজ্জামান: বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানোসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় জাতিসংঘ বরাবর ৬ দফা দাবি তুলেছেন কুষ্টিয়ার পাটিকাবাড়ি এলাকার মানুষ। তারা মানববন্ধন, আলোচনা সভা ও গাছের চারা বিতরণ করেছে। সোমবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া সদরের পাটিকাবাড়ি এলাকার খেজুরতলায় গ্রাম্য ভাঙা রাস্তার ওপর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এই প্রত্যন্ত গ্রামে ইংরেজিতে লেখা ব্যানার নিয়ে পৃথিবীকে বাঁচানোর প্রত্যয়ে
দাড়িয়ে পড়েন কয়েকশ মানুষ। ব্যানারে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেজ ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। ইংরেজীতে লেখা পরিবেশ সুরক্ষার নানান দাবি সম্বলিত কাগজ ছিলো সবার হাতে।
স্থানীয় প্রভাতী ক্যাডেট স্কুল ও সেভ ওয়ার্ল্ড সংগঠন এ আয়োজন করে। বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানো, বৃক্ষরোপণ, বিপন্ন প্রাণী সুরক্ষা, প্লাস্টিক ও শিল্প বর্জ্য থেকে রক্ষার দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এর আয়োজক মো. সাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে তারা বিশ্ব নেতাদের কাছে পরিবেশ রক্ষার এসব দাবি তুলেছেন। যুবক সাকিবুল বলেন, জাতিসংঘ জলবায়ু ইস্যুতে শুধু সভা-সমাবেশ করে দায়িত্ব পালন করতে চাইছে। যা করা দরকার সেই সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
একারণে মানববন্ধন থেকে ক্ষোভ ও দু:খ প্রকাশ করা হয়। সাকিব বলেন, স্বপ্নের জগতে থেকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা সম্ভব নয়। স্বপ্নের জগত
থেকে মাটিতে নেমে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, জাতিসংঘ চাইলে একদিনে ৪শ কোটি গাছ লাগানো সম্ভব। তাপমাত্রা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ করাও তাদের পক্ষে সম্ভব।
এ কারণে তাদের ৬ দফা মেনে নিয়ে সুন্দর পৃথিবী উপহার দেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। খ্যাতিমান ইসলামী বক্তা এনামুল হক শাফীও এ দাবির পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করে এ আয়োজনে যোগ দেন। তিনি বলেন, গাছ অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি। আল্লাহ আমাদেরকে বিনামূল্যে দিয়েছেন। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তা বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে কিছুটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, মাশাল্লাহ গ্রামের মানুষ সচেতন হয়ে দাবি তুলছেন। কারণ এরা পরিস্থিতির শিকার। তিনি সবাইকে পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পরে আলোচনা সভায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন। আয়োজন উপলক্ষ্যে ৩ শতাধিক গাছের চারা বিতরণ করা হয়।