বেনাপোল প্রতিনিধি: শার্শার ছোট আঁচড়ায় রাহুল হোসেন নামের এক শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্যাতীত শিশু রাহুল হোসেন নারায়নপুর পুড়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানাগেছে শার্শা উপজেলার নারায়নপুর পুড়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে শিশু রাহুল হোসেন বেনাপোল হাজী বারানী হাউজে ম্যাছিয়ারের কাজ করে।কাজের সুবিধার্থে রাহুল বেনাপোলের ছোটআঁচড়া গ্রামে তার নানা মৃত মোহাত আলী মিস্ত্রির বাড়িতে থাকে।
গত বুধবার ০৫ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে ছোটআঁচড়া গ্রামের গোলাম সর্দারের ছেলে খানজা সর্দার তার ছেলে পথিক ও প্রিন্স, ইস্রাফিল সর্দারের ছেলে চয়ন সর্দার হঠাৎ মটরসাইকেল যোগে এসে ছোটআঁচড়া মাঠ থেকে শিশু রাহুলকে উঠিয়ে পাটবাড়ির পাশে একটি গোপন ঘরে রেখে রাহুলের উপর রাত নয়টা পর্যন্ত অমানবিক নির্যাতন চালায় এতে রাহুলের মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
গুরুতর আহত রাহুল নির্যাতনের ফলে বেহুস হয়ে গেলে দূরবৃত্তরা তার নানার বাড়ির পাশে ফেলেরেখে যায়। স্থানীয়রা রাহুলকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় রাহুলের মামা তবিবুর রহমান বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। খানজা গং প্রভাবশালী হওয়ায় রাহুলের পরিবার ভয়ে আতংকে মানবতার জীবন যাপন করছে।
শিশু নির্যাতনের মত এমন জঘন্য ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নিশ্চুপ থাকায় জনমতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দূষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের আশু হস্তষক্ষেপ কামনা করেছেন।
রাহুলের পিতা আব্দুল করিম বলেন, আমার শিশুপুত্র রাহুলের উপর যারা এমন অমানবিক নির্যাতন করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।
এবিষয়ে শিশু নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত খানজার নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যেয়ে বলেন আমি হসপিটালে আছি এসে কথা বলব।
এব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক মাসুমের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি ঘটনা সত্য এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয় হবে।