1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
দৌলতপুরে গণহত্যার স্বীকার শহীদরা ৫০বছরেও স্বীকৃতি পাননি - dailynewsbangla
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মান্দায় ইউএনও শাহ আলম ইউক্যালিপটাসের চারা নিধন করলেন প্রেমের টানে মেয়ের নানার বাড়িতে ছেলের অনশন, বিয়েতে অনীহা ছেলের পরিবারের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে জবাইকৃত ৫টি ঘোড়া উদ্ধার, একজন আটক বোয়ালমারীতে মাদক কারবারি আটক ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শন করলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মান্দায় মাদ্রাসা ভবন নির্মাণের সামগ্রী নিয়ে উধাও শ্রমিকেরা ঘোড়াঘাটে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত অবশেষে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে নওগাঁ পৌরসভার বেহাল রাস্তাগুলো  মৎস্যজীবীকে হত্যার ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের ঘোড়াঘাটে দুর্ধর্ষ চুরি, নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুট থানায় অভিযোগ

দৌলতপুরে গণহত্যার স্বীকার শহীদরা ৫০বছরেও স্বীকৃতি পাননি

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দৌলতপুর(কুষ্টিয়া)প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের গোয়ালগ্রাম গণহত্যা দিবসের ৫০ বছর আজ। ১৯৭১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকহানাদার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। আহত হন দুই মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য নারী-পুরুষ।

জ্বালিয়ে দেয়া হয় গ্রামের অসংখ্য ঘর-বাড়ি। তবে দু:খের বিষয় স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছরেও এ গণহত্যার শিকার হওয়া শহীদরা পাননি কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। ১৯৭১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাতে একদল মুক্তিযোদ্ধা দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম ফরাজী বাড়িতে অবস্থান নেয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের খবর পেয়ে রাত ২টার দিকে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকহানাদার বাহিনী ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে অতর্কিত গুলি চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ কেউ তখন পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। আবার কেউ পাল্টা গুলি করে। তবে পাকহানাদার বাহিনীর পরিকল্পিত গুলি বর্ষণে ফরাজী বাড়িতে অবস্থান নেয়া মুক্তিযোদ্ধাসহ ওই পরিবারে ১৭ জন শহীদ হয়।

নিহতদের গণকরব দেয়া হয় ওই বাড়ির পিছনের বাগানে। পাকবাহিনীর দেয়া আগুনে পুড়ে যায় ওই গ্রামের অনেক বাড়ি।সেদিনের স্মৃতি বর্নণা করতে দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন যুদ্ধে অংশ নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আফফান।

পাকহানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও দুঃসহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারেননি ওই সময়ের ৮ বছর বয়সী গুলিবিদ্ধ জয়তুন নেছা। বাম বাহুতে গুলি লাগা সেদিনের শিশু জয়তুন নেছা প্রানে বাঁচলেও পরিবারের সবাইকে হারিয়ে আজও তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন দুঃসহ যন্ত্রনা। পরিবারের সকল শহীদদের স্বীকৃতি দেয়া হোক এমনটাই দাবি তার।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণকবরস্থলের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মান করা হয়েছে। এই দিনটি উপলক্ষে সেখানে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শহীদ পরিবরের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ