ডেস্ক রিপোর্টঃ সম্প্রতি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া শরীফ উদ্দিন রিমনের ওই কলেজ কেন্দ্রীক অনিয়ম দুর্নীতির খবর প্রকাশ হয় গেল ৫ আগস্ট। কলেজটির শিক্ষক কর্মচারীদের উৎসব ভাতা না পাওয়াকে কেন্দ্র করে কলেজ কমিটির ততকালীন সভাপতি,উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন রিমনের নানা অনিয়ম দুর্নীতি তুলে ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি আবেদনও জানান শিক্ষক-কর্মচারীরা।
খবরটি প্রথম প্রকাশের অন্তত ১৮ ঘণ্টা পর ২য় দফায় একযোগে প্রকাশিত হয় দৌলতপুর টোয়েন্টিফোর সহ বেশকিছু গণমাধ্যমে। একে একে এলাকাবাসী মুখ খুলতে শুরু করে অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন রিমনের নানা দুর্নীতি প্রসঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় রিমনের ঘুষ বাণিজ্যের এক ফিল্মি স্টাইলের ফোনালাপ। নিজের অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষবাণিজ্য ধামাচাপা দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে শরীফ উদ্দিন রিমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল দৌলতপুর টোয়েন্টিফোর এর প্রধান নির্বাহী তাশরিক সঞ্চয়ের বিরুদ্ধে।
মামলায় বিবাদী করা হয় অপর এক সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষকে। এমন দাবিতে দৌলতপুরেে চলছে নানা কর্মসূচী। এ প্রসঙ্গে দৌলতপুর টোয়েন্টিফোর এর পাবলিক রিলেশন বিভাগের প্রধান হাসনা উল হুসনা জানান, আলোচনায় আসা প্রতিবেদনটি অন্তত ২০ টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ একটি খবর সাংবাদিকেরা প্রকাশ করেছেন, দৌলতপুর টোয়েন্টিফোর এর একজন নিজস্ব প্রতিবেদক এই প্রতিবেদনে কাজ করেছেন,কিন্তু শরীফ উদ্দিন রিমন প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ বিভাগের প্রধান কে মামলায় জড়িয়েছেন বিষয়টি অন্যায়ের পাশাপাশি অজ্ঞতাও এবং হাস্যকর, আমরা ধারণা করছি দৌলতপুর টোয়েন্টিফোর পোর্টালটি দৌলতপুর উপজেলায় বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যমের ভূমিকা পালন করে বলেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রিমন সাহেব বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা দমন করতে মাঠে নেমেছেন।
কিন্তু, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় দুর্নীতিবাজের হস্তক্ষেপ মেনে নেয়নি সাংবাদিক সমাজ, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচির পর দৌলতপুরে ১৩ সেপ্টেম্বর হতে যাচ্ছে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আহ্বানে বিক্ষোভ সমাবেশ। এদিকে একই কলেজে প্রিন্সিপাল নিয়োগের কথা বলে আরেক শিক্ষক শামসুল আলমের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েও প্রতারণার ঘটনা সামনে আসে শামসুল আলমের দায়ের করা মামলার মাধ্যমে। প্রাথমিক যাচাইয়ে যার সত্যতাও পেয়েছে গণমাধ্যম। আরেকদিকে উপজেলার আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে থেকে অবৈধ উপার্জন এবং বরখাস্তের তথ্য হাতে এসেছে গণমাধ্যমের।
আলোচনায় উঠে এসেছে পুরনো বছরেরও ঘুষ বাণিজ্যের প্রকাশিত খবর। সাংবাদিকের নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবিতে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে সাংবাদিক সমাজ। ক্ষমতাসীন দলের পদধারী নেতা হয়ে গণমাধ্যমের ওপর জুলুম করায় স্থানীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা। শরীফ উদ্দিন রিমনের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতার খবর বর্জন করেছেন সাংবাদিক সমাজ।