মাসুদ রানা (প্রতিনিধি বাউফল) ::পটুয়াখালীর বাউফলে শিক্ষার্থীকে ফুঁসলে নেয়ার অভিযোগে হাফেজ মনিরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষককে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছে।
বাউফল পৌর শহরের হাজি সড়ক এলাকার বাউফল মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিচালক মাও. আনিচুর রহমানের নির্দেশে মাও. জসিম উদ্দিন ওই শিক্ষককের মাথা ন্যাড়া করেন।
জানা গেছে, হাফেজ মনিরুল ইসলাম বাউফল মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেট মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে চাকরি করতেন। একজন ভাল শিক্ষক হিসাবে ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে তার সুনাম ছিল। ওই মাদ্রাসার পরিচালক মাও. আনিচুর রহমানের সাথে তার মতবিরোধ দেখা দিলে সম্প্রতি তিনি চাকরী ছেড়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার লাউতলী জামিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন। তিনি চলে যাওয়ার পর কয়েকজন ছাত্র ওই মাদ্রাসা ছেড়ে অন্য মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি হন। কয়েক দিন আগে বাউফল পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের জাকির হোসেনের ছেলে মুজাহিদ (৮) ওই মাদ্রাসা ছেড়ে হাফেজ মনিরুল ইসলামের চাঁদপুরের মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি হন। মুজাহিদের বাবা তার ছেলেকে ভর্তি করে দিয়ে আসে। এতে ক্ষুব্ধ হন বাউফল মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেড মাদ্রাসার পরিচালক মাও. আনিচুর রহমান। তার ধারণা শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ওই ছাত্রকে ফুঁসলে নিয়ে চাঁদপুর তার মাদ্রাসায় ভর্তি করেছেন। এরপর তিনি অভিভাবক পরিচয়ে অন্য একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে হাফেজ মনিরুল ইসলামকে কয়েকজন ছাত্র দেয়ার নামে চাঁদপুর থেকে গত ৩ জুলাই বাউফলে ডেকে এনে কালিশুরী এলাকার একটি মাদ্রাসার রুমে আটকে রেখে মারধর করেন। এরপর তার নির্দেশে মাও. জসিম উদ্দিন নামের অপর এক শিক্ষক মনিরুল ইসলামের মাথা ন্যাড়া করে দেন এবং তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও সাড়ে ৪ হাজার টাকা রেখে রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন।
বাউফল থানার ওসি আল মামুনের নির্দেশে এসআই নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ একই দিন দুপুরে মদিনাতুল উলুম নুরানি হাফিজি ক্যাডেড পুলিশ অভিযান চালায়। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) গ্রেফতার করা হয়নি। ঘটনার শিকার ওই শিক্ষকের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার আলী নগর গ্রামে । তার বাবার নাম আবদুল মন্নান।