1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
দৌলতপুরে পেনশনের বাড়তি টাকাই যেন হয়ে দাড়িয়েছে গলারকাঁটা - dailynewsbangla
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি নির্বাচন ঘোড়াঘাটে শিক্ষকদের মনোনয়ন ফরম উত্তোলন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা ও পরিচিতি সভা বোয়ালমারীতে পিস্তল উদ্ধার  ভেড়ামারায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যম্পইন উদ্বুদ্ধ করণ  সভা দৌলতপুরে দাড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ ভেডামারা সরকারি মহিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার পিলার ঘিরে করা হয়েছে সিএনজি স্ট্যান্ড লালপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ডাক বিভাগের দাপ্তরিক কার্যক্রম দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে প্রথমবারের মতো উপজেলা পর্যায়ে অর্থোপেডিক অপারেশন সম্পন্ন ভেড়ামারায় ৩১ দফা কর্মসুচী বাস্তবায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা

দৌলতপুরে পেনশনের বাড়তি টাকাই যেন হয়ে দাড়িয়েছে গলারকাঁটা

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর হিসাব রক্ষণ অফিসের অন্যান্য কাজের সাথে এখান থেকে পেনশনের টাকা তোলেন দৌলতপুর উপজেলার সিনিয়র সিটিজেন অর্থাৎ সরকারি বিভিন্ন পেশার অবসরপ্রাপ্তরা। জানা গেছে, সম্প্রতি টাকার গ্রাহকদের অনেকেই পেয়েছেন বাড়তি টাকা যার মাথাপিছু অংক হাজার থেকে লাখের ঘরে। কিন্তু এই বাড়তি টাকাই যেন হয়ে দাড়িয়েছে গলারকাঁটা। উপজেলার বাগোয়ান এলাকার দিদার হোসেনের নামে ১৩ হাজার ৫শ’ ৯৭ টাকা অতিরিক্ত উঠলে তার পরিবারকে অফিস থেকে হুমকি দেয়া হয় দ্রুত টাকা ফেরত না দিলে পেনশন বন্ধ করে দেয়ার।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দিদার হোসেনের ছেলে রায়হান গণমাধ্যমকে জানান, এরকম অনেকেই অতিরিক্ত টাকা পেয়েছে, অফিসের নির্দেশনায় টাকা স্থানীয় সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে গেলে সেখান থেকে জানায় খুলনায় গিয়ে জমা দেয়ার কথা। একই ঘটনা ঘটেছে বড়গাংদিয়া এলাকায় চকঘোগার মোবারক হোসেনের সাথে। তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ২শ’ ৬৪ টাকা। আব্দুল মজিদ পেয়েছেন প্রাপ্যের চেয়ে ১৩ হাজার বেশি। কামালপুরে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যাক্তি পেয়েছেন বাড়তি ৫৯ হাজার টাকা।

এরকম অভিযোগ ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তত ৭০-৮০ জনের। কিন্তু প্রতিবেদক অবাক হয় তখনই যখন খোদ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন– এধরণের কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। যদিও পরবর্তিতে বিষয়টির দায় দিতে চেষ্টা করেন সফটওয়্যার কে। ঘটনা জানা নেই কিন্তু ইতোমধ্যে বাড়তি টাকা প্রাপ্তদের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশনা কিভাবে দেয়া হলো জানতে চাইলে সেটিও অজানা বলে জানান তিনি। এদিকে, ভুক্তভোগীরা বলছেন অফিসের নির্দেশনায় ইতোমধ্যে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে অনেকেই টাকা ফেরত দিয়েছেন সরকারি কোষাগারে।

অফিস স্টাফ মাসুদ আরিফ জুয়েল কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্বীকার কারন মাত্র কয়েকটিতে ভুল হয়েছে। সাম্প্রতিক আগে দায়িত্বে থাকা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম (বর্তমানে গাংনী) এবিষয়ে বাদবাকি নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তবে আশরাফুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি কিছুই জানেন না এ প্রসঙ্গে। ঘটনা আরও রহস্যময় হয়ে ওঠে তখন। ২০১৬ সাল থেকে কর্মরত জুয়েলেকে ঘুষ না দিয়ে পেনশন ভোগীরা কোন কাজই করিয়ে নিতে পারেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

আবার অতিরিক্ত টাকা আসা ব্যাক্তিদের পেনশন কার্যক্রমও শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের পর থেকে। কাউকে আবার বলা হয়েছে অফিসে এসে জুয়েলের হাতেই টাকা জমা দেয়ার কথা। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের বেশি টাকা উত্তোলন, জমা দেয়া না দেয়ার বিভ্রান্তি, এতকিছু ঘটে গেলেও অফিসের কর্তা ব্যাক্তিদের না জানা ও তথ্য গোপনের অপচেষ্টা সন্দেহের তৈরি করেছে ভুক্তভোগীদের মনে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তবে, সফটওয়্যারে ভুল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ