দৌলতপুর(কুষ্টিয়া)প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরীরসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে দৌলতপুরে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
রোববার (৩১ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা যুবলীগ অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী।
এতে লিখিত প্রতিবাদ পড়েন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের।
তিনি বলেন, দৌলতপুর আওয়ামী রাজনীতিকে সুসংঘঠিত করার লক্ষে যেমন আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরীর অবদান রয়েছে ঠিক তেমনি অবদান রয়েছে দৌলতপুর আওয়ামী আদর্শের নেতাকর্মীদের শেষ আশ্রয়স্থল তার ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরীর। টোকেন চৌধুরীর আরেক ভাই হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের নৌকা প্রতীক নিয়ে পর পর ২বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তার কর্মদক্ষতায় তিনি গোল্ড ম্যাডেল পেয়েছেন।
দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক মার্কা)প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন তার জনপ্রিয়তায় ঈর্শাম্বিত হয়ে একটি মহল সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেজাউল হক চৌধুরী ও তার পরিবারকে জড়িয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করছেন, তাদের উদ্দেশ্য উদ্ঘাটন অতি জরুরি।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এটি শুধু রেজাউল হক চৌধুরীর সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা নয়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসন ও রাজনীতিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার কিংবা শেখ হাসিনা সরকারকে অপদস্ত করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা বলেও অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টোকেন চৌধুরী বলেন, ২৭ ডিসেম্বর রাতে নির্বাচনী প্রচার কার্য থেকে ফেরার পথে দৌলতপুরের তারাগুনিয়া থানা মোড়ে পৌছলে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমার গাড়ীর গতি রোধ করে লাঠি সোটা নিয়ে আক্রমন করে আমি তাৎক্ষনিক দৌলতপুর থানাকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ গিয়ে অত্র এলাকা নিয়ন্ত্রনে নেয় এবং স্থানীয় আবাসিক ও দোকানের সিসি ফুটেজ জব্দ করে তদন্তের জন্য থানা পুলিশ নিয়ে যায়। টাকা দিয়ে ভোট কেনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের বলেন, উপজেলা প্রপারে গনসংযোগের দিন হাটবার থাকায় প্রার্থীর বাসার জন্য কাঁচা বাজার করার জন্য তার সফর সংগীর হাতে টাকা দিয়েছেন, যার হাতে টাকা দিয়েছেন তিনি এই এলাকার লোক না হওয়ায় বিষয়টি অপপ্রচার বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। আমরা এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুরের বিভিন্ন ক্লাবের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।