1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
খোলা আকাশের নিচে তিন ধরে বসবাস এক সংখ্যালঘু পরিবারের - dailynewsbangla
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
আর কোন সরকার যেন ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে: রাজশাহীতে জোনায়েদ সাকি দৌলতপুরে লাঠির আঘাতে আপেল লস্কর নামে ব্যাবসায়ীর মৃত্যু দৌলতপুরে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ এর প্রথম মিলন মেলা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু বোয়ালমারীতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার আয়োজন ভেড়ামারায় ভুয়া ডাক্তার আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে ৩ মাসের জেল অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত দৌলতপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে (ইউএনও)’র মত বিনিময় সভা ভেড়ামারায় পৌরসভা নগর উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ভেড়ামারায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

খোলা আকাশের নিচে তিন ধরে বসবাস এক সংখ্যালঘু পরিবারের

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০

রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা সত্তে¡ও সহকারি কমিশনারের (ভ‚মি) কর্তৃক বাড়িতে তালা দেয়ায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে গত তিন দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন দরিদ্র এক সংখ্যালঘু পরিবার। পৌর ভ‚মি অফিসের উপ-সহকারী ভ‚মি কর্মকর্তা (তহশীলদার) আজিজুল ইসলামের যোগসাজসে ওই পরিবারকে ভিটে ছাড়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন শহরের নতুন বাবুপাড়ার বাসিন্দা শ্রী জহরলাল শীল। সংবাদ সম্মেলনে জহরলাল শীল বলেন, গত ১ নভেম্বর সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) রমিজ আলম খাস জমির অবৈধ দখলদার উল্লেখ করে আমার পরিবারকে ভিটেছাড়া করতে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এর আগে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগও। এ অবস্থায় আমরা দিকহারা হয়ে পড়েছি। তিন পুরুষ ধরে নিঃস্কর প্রজা হিসাবে বংশ পরম্পরায় এ বাড়িতে বসবাস করে আসছি।

ওই জমির মালিক ছিলেন জমিদার পুরণচাদ নওহাটা ও জ্ঞানচাঁদ নওহাটা। খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ওই খতিয়ান ও দাগভুক্ত অবশিষ্ট ৪০ শতক জমিতে জমিদার কাচারি ঘর এবং কর্মচারিদের কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেয়ার ঘর নির্মাণ করেছিল। আমার দাদা নারায়ণ চন্দ্র শীল ক্ষৌরকার্য করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সেই সুবাদে জমিদার ও তাদের কর্মচারীরা যখন খাজনা আদায়ের জন্য কাচারীতে আসতো, তখন তাদেরও ক্ষৌরকার্য সম্পাদন করতেন নারায়ণ চন্দ্র শীল।

কাজের বিনিময় স্বরুপ ওই জমিতে নারায়ণ চন্দ্রশীলকে বাড়ি তৈরী করে বসবাস করতে মৌখিকভাবে অনুমতি দেন জমিদার। কিন্তু খাস জমির কথা বলে সেখানে ভুমি অফিস নির্মান করা হবে বলে সেখান থেকে অন্যত্র চলে যেতে বলেন ওই তহশিলদার। এ ব্যাপারে আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করি যা বিচারাধীন। আদালতে যে রায় দেয়া হবে তা মাথা পেতে নেব। কিন্তু হঠাৎ করে ওই দিন কোন রকম আগাম নোটিশ ছাড়াই আমাদের বাড়ীতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাই পরিবারের ৮ জন সদস্য নিয়ে খোলা আকাশের নিচে তিন ধরে বসবাস করে আসছি। এ ঘটনার সৃষ্ঠ বিচার ও বসতবাড়িতে বেঁচে থাকার অধিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করা হয় ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ