বিশেষ প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ৫০শয্যা বিশিষ্ট সরকারী হাসপাতালে সাধারন রোগীদের জন্য বিনা মুল্যের সরবরাহকৃত ঔষধ ভাগাড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। অথচ হাসপাতালে আগত রোগীদের তা সময়মত সরবরাহ করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারী হাসপাতালের বাউন্ডারীর ভিতরে রোগীদের জন্য বরাদ্ধকৃত সরকারী বিনামুল্যের ঔষধ ভাগাড়ে পড়ে আছে। এসকল ঔষধ সময়মত না দিয়ে সাধারন রোগীদের বাইরের ফার্মেসী থেকে কিনে আনতে বলা হয় বলে আগত রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন। সরকারী বিনামুল্যের বিপুল পরিমাণ ঔষধ ভাগাড়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় ঊৎসুখ জনতা সেখানে ভীড় করছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্য ভর্তি হওয়া হরিণগাছী গ্রামের বৃদ্ধ লুৎফর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমি আজ তিনদিন এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি দিনে একটা লাল আর নীল রংয়ের বড়ি দেয় তা ছাড়া অন্য ঔষধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সরকারী স্যালাইন হাসপাতালের সাথে জড়িত কিছু ঔষধ ব্যবসায়ী ও দালাল চক্রের কাছ থেকে সাধারন রোগীরা কিনে নিয়ে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
হাসপাতাল ঘনিষ্ট একাধিক সুত্র ও স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরকারী ঔষধ সরবরাহ থাকলেও আগত রোগীদের সরবরাহ নেই বলে বাইরের ফার্মেসী থেকে ইনডোর ও আউটডোর রোগীদের কিনে আনতে বাধ্য করা হয়। সরকারী ঔষধ ভাগাড়ে পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের ষ্টোর ইনচার্জ বজলুর রহমান বলেন, আমি ঔষধের হিসাব রাখিনা। ঔষধের হিসাব স্যারের কাছে থাকে। তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে ঔষধ ফেলে দেওয়া হয়েছে। সরকারী ঔষধ রোগীদের সময়মত না দিয়ে এখন মেয়াদ উত্তীর্ণ বলে ফেলে দেওয়ার কারন সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে চাননি। তাছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিধিসম্মত ভাবে ণষ্ট না করে ভাগাড়ে ফেলে জনস্বাস্থ্যকে আরো ঝুকির মধ্যে ফেলে দেয়া হলো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাব দেননি ঐ কর্মকর্তা।