বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। ঘোড়াটি যাকে দেখছে তেড়ে গিয়ে তাকেই আক্রমন করছে। এ ঘটনার পর থেকে উপজেলা জুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বোয়ালমারী পৌরসদরের কলেজ রোড ও চৌরাস্তা এলাকায় দুইটি ঘটনায় বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এছাড়া গত দুইদিনে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ঘোড়াটির কামড়ে ও লাথিতে অন্তত ৮ জনের মতো আহত হন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন, উপজেলার গুনবহা গ্রামের বাসিন্দা গণমাধ্যমকর্মী কাজী হাসান ফিরোজ (৬০), আতাউর রহমান (৫৫), মো. সিদ্দিক, (৪৫), শহিদুল (২৫), মনিরা বেগম (৩৬), আলেয়া বেগম (৩৪)। আক্রমনের শিকার অন্যান্য ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বোয়ালমারী সদরের চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ী রুবেল এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধীকারী রুবেল মিয়া জানান, আজ রবিবার সকালে দোকান খোলার সময় আমাকে ঘোড়াটি তেড়ে কামড় দিতে আসে। দোকান থেকে লাঠি নিয়ে ধাওয়া দিলে দূরে চলে যায় ঘোড়াটি। আমি আসার আগেই কাজী ফিরোজ নামে একজনকে কামড় দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. নিজাম উদ্দিন খান বলেন, আজকেসহ গত দুইদিনে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে নারীসহ কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ জনকে পাগলা ঘোড়ায় আক্রমন করেছে। ঘোড়াটি সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই তেড়ে গিয়ে কামড়াচ্ছে। ঘোড়াটিকে কোনো পাগলা কুকুর কামড়ানোর পর হইতো এ রকম আচরণ করছে।
ঘোড়ার কামড়ে মারাত্মক আহত গণমাধ্যমকর্মী কাজী হাসান ফিরোজ বলেন, ‘সকালে হাঁটার জন্য মোটরসাইকেল যোগে রেলস্টেশনে যাচ্ছিলাম। মাঝপথে চৌরাস্তায় পৌঁছালে একটি পাগলা ঘোড়া দৌড়ে এসে কোমরে কামড় দেয়। এ সময় আমি মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে গেলে আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে এখন বাড়িতে আছি। তবে আক্রান্তস্থানে তীব্র ব্যথা অনুভব করছি। আজ রবিবার সকালেই আমিসহ কমপক্ষে ৪-৫ জন পাগলা ঘোড়ার আক্রমনের শিকার হয়েছে।
আহতদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. মোর্শেদ আলম বলেন, ‘সকালে ঘোড়ার কামড়ে আহত বেশ কয়েকজন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের ব্যাথানাশক ঔষধ ও টিটেনাস ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ঘোড়াটিকে কোনো পাগলা কুকুর কামড় দিয়েছে। যার কারণে ঘোড়াটি এমন আচরণ করছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়রা পাগলা ঘোড়াটি আটক করছে সংবাদ শুনে অফিসে লোক পাঠিয়েছি। বর্তমানে ঘোড়াটি গুনবাহা গ্রামে আটক আছে।
এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।তবে জলাতঙ্ক হলে তিন চার দিনের মধ্যে মারা যাবে।