নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোপালপুর এর গ্রামের হাজী গিয়াস মোল্লার ছোট ভাই আলামিন হোসেনের বড় মেয়ে আনুশকাহ নূর আমিন অর্ণাকে (১৪) ধানমন্ডিতে ধর্ষনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অর্ণা মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া একজন মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। রাজধানীর কলাবাগান থানার ধানমন্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ অর্ণার বন্ধু দিহানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই কিশোরীর মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে নিয়ে যান কলাবাগান থানা পুলিশের একজন কনস্টেবল। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু আনুশকাহকে ধানমন্ডির মডার্ণ আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বিকেলে হাসপাতালে অর্ণা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর আনুশকাহ শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার পেটের ডান পাশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে কলাবাগান থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ঠাকুর দাস গণমাধ্যমকে জানান, ওই ছাত্রীর বাসা ধানমন্ডির সোবহানবাগে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ওই ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কলাবাগানের ডলফিন গলিতে দিহানের বাসায় যায় ওই ছাত্রী। দিহানের বাসা তখন ফাঁকা ছিল। সেখানে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহান তার তিন বন্ধুকে ফোন করে ডেকে আনে। পরে তারা অসুস্থ ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য মডার্ণ আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বিকালে তার মৃত্যু হয়। এদিকে এই নির্মম ধর্ষণ ও হৃদয়বিদারক ঘটনাকে সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সমগ্র কুষ্টিয়া বাসি।