কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড‘র খামখেয়ালীপনায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অর্ধ শত বসত বাড়ি বালির নিচে চাপা পড়েছে। শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ী ছেড়ে অন্য এলাকায় দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছে। গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের এই পরিকল্পনাহীন কর্মকান্ড করার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের বহলা গোবিন্দপুর এলাকায়।
জানা যায়, জিকে খাল খননের জন্য খালের তীরবর্তী সমস্ত জলাশয় ভরাট করার প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। বালি দিয়ে জলাশয় ভরাটের শুরুতে পাউবি অধিগ্রহণ করা সম্পত্তির ওপর প্রথমে বালি ফেলে। পরবর্তিতে বহলা গোবিন্দপুর গ্রামের প্রায় ৪৬টি বসতবাড়ীর ঘরের চাল পর্যন্ত বালি দিয়ে ভরাট করে ফেে ছে। বালিতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে গেছে বসতবাড়ীগুলো।
রাতের আঁধারে দ্রুত বালি ফেলায় অনেকেই আতংকিত হয়ে কাঁচা বাড়িঘর ফেলে রেখে অন্যত্র চলে গেছে। এলাকাবাসী নিষেধ করলেও তারা কোন বাধা মানে নাই বলে ভুক্তভোগী কুদ্দুস ডাঃ ও মোবারক হেসেনে জানান।
চাপড়া ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন রিন্টু বলেন, জিকের খাল খননের সময় পাড় বাঁধার জন্য ড্রেজার দিয়ে জলাশয় ভরাট করার কথা। কিন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড খালের পাশে তাদের অধিগ্রহণ করা সম্পত্তি ছাড়াও জনগনের ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওপর বসত বাড়ীতে বালু ফেলেছে। বহু মানুষের বাসস্থান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং শাখা) আজমীর হোসেন বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, নদীর তীরবর্তী অধিগ্রহণকৃত জমির উপর জলাশয় ভরাট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা কিভাবে অন্যের বসতবাড়ীর ঘরের চাল সমান বালি ভরাট করেছে এটা আমার জানা নেই। আমি স্বীকার করছি এটা অন্যায় হয়েছে। অফিস খোলার পর যে কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ।
মেজবা উদ্দিন পলাশ কুষ্টিয়া।