দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: দশমিনায় বিয়ের দাবিতে পাঁচ সন্তানের এক জননী তিনদিন ধরে প্রেমিকের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন। বুধবার বিকালে উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মৃধা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়া ওই প্রেমিকার নাম মোসা. মুক্তা বেগম (৩৫)। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে মুক্তা বেগম নিখোঁজ রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের ছবির মৃধা জীবিকার তাগিদে চট্রগ্রাম অবস্থান করায় তার স্ত্রী পাঁচ সন্তানের জননী মোসা. মুক্তার সাথে একই গ্রামের মো. দলু উদ্দিন মৃধার ছেলে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী মো. রুবেল মৃধার
সাথে দীর্ঘ তিন বছর ধরে পরোকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
কিছুদিন যেতে না যেতেই মুক্তা ও রুবেল ওই ইউনিয়নের আমতলা বাজারে একটি ভবনে রুম ভারা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মত জীবন কাটাতে থাকে।
এতে মুক্তার গর্ভে দুই মাসের একটি সন্তান সম্ভবা হয়ে পরে। সন্তান সম্ভবা মুক্তা বেগম রুবেলের অনুরোধে দুই মাসের ভ্রন নষ্ট করে।
ওই পরোকিয়া প্রেমের সূত্র ধরে বিয়ের দাবিতে মোসা. মুক্তা বেগম মঙ্গলবার রাতে প্রেমিক রুবেল মৃধার বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে রুবেল মৃধার পক্ষে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম মুক্তা ও তার স্বামী ছবিরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতি দেখাতে থাকে। পরের দিন বুধবার সকাল ৮ টার দিকে পরোকিয়া প্রেমিক রুবেল মৃধার বাড়িতে স্বামী ছবির স্ত্রী মুক্তাকে বেধরক মারধর করলেও মুক্তা রুবেলের বাড়িতেই অবস্থান নিয়ে থাকে।
পরে ওই রাতেই যুবলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ৭/৮ জনের একটি দল নিয়ে মুক্তাকে খোজাখুজি করে। তার পর থেকে মুক্তা নিখোঁজ
রয়েছেন বলে স্থানীয়রা দাবী করছে। তবে যুবলীগ নেতার দাবি মুক্তা বেগম তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ ঘটনার পর থেকে পরোকিয়া প্রেমিক রুবেল লাপাত্তা রয়েছেন।
তবে ওই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. দীনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ সংবাদদার সাথে রুবেল মৃধার কথা হয় এবং রুবেল মৃধা তাদের পরোকিয়ার ঘটনা সত্যতা শিকার করে। রুবেলের মা মোসা. রোমেনা বেগম বলেন, ছেলে রুবেলকে অনেকবার বুঝিয়েছি কিন্তু সে শোনেনি।
অভিযোগের বিষয় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্র করছে, এ বিষয় আমি কিছুই জানিনা।দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম জানান, ঘটনাটি আমার জানা নেই। এ বিষয় কোন অভিযোগ পাইনি, আমি এখনই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি।