মোঃবেল্লাল হোসেন: দশমিনা উপজেলা সদর থেকে পটুয়াখালী লোহালিয়া খেয়া ঘাট পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার সড়কের দশমিনা উপজেলা অংশের ১৪ কিলোমিটার সড়কের সাত কিলোমিটার সড়ক এখন মরন ফাদেঁ পরিনত হয়েছে । ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ডানিডার অর্থায়নে সড়কটির নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করেন এলজিইডি। ওই সড়ক দিয়ে দশমিনা থেকে পটুয়াখালী ও বরিশাল ও ঢাকায় প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করেন।
সড়কের দশমিনা উপজেলা অংশের মাছুয়াখালী থেকে সিকদাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, সড়কের গর্তে বর্ষার পানি কাদা জমে চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন গাড়ির হেলপার সড়কের বড় বড় গর্তে গাছের ঠাল ফেলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন। সড়কে পানি জমে থাকায় মটর সাইকেল চালকদের কাদা পানিতে একাকার হতে হয়।
দশমিনা থেকে ঢাকা গামী চেয়ারম্যান পরিবহনের ড্রাইভার আফজাল হোসেন জানান, দীর্ঘ ৪/৫ বছর জীবনের ঝুকি নিয়ে ওই ভাঙ্গা সড়কে গাড়ি চালাচ্ছি। দশমিনা থেকে ঢাকা গামী অন্তরা পরিবহনের ড্রাইভার মোঃ পলাশ জানান, গর্তে গাড়ির চাকা ডেবে গেলে আর উঠানো যায়না তাই গাড়ির যাত্রী নামিয়ে গাছের ঠাল ফেলে গাড়ি চালিয়ে যেতে হয়।
তিনি আরো জানান, হেলে দুলে সাত কিলোমিটার সড়কে গাড়ি চালিয়ে যেতে দের দু ঘন্টা সময় লেগে যায়। এলজিইডির দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মকবুল হোসেন জানান, ওই সড়কটির দশমিনা অংশের মাছুয়াখালী থেকে সিকদাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কে ৪০ মিলিমিটার কার্পেটিং করে সংস্কার করার জন্য প্রাক্কালন ব্যায় নির্ধারন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
সেখান থেকে একটি টিম জরিপ করার পরে সড়কের টেন্ডার আহবান করা হবে। তিনি জানান, ২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ সড়কটির সাত কিলোমিটার ভাঙ্গা অংশের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।