সিলেট প্রতিনিধিঃ পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহায়তায় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ ইউনিটের আওতায় ”হীড বাংলাদেশ” সংস্থার সহযোগিতায় বাহারি(রঙিন) মাছ চাষে সফলতার ছোয়ায় সঞ্চিতার পরিবার। সবুজ সমারোহে চা বাগানে ঘেরা গ্রামটিতে তার বসবাস। বিভিন্ন দোকানে এ্যাকুরিয়ামে আবদ্ধ রঙিন মাছ দেখে স্বপ্নের বাসা বাঁধে তার মনে। রঙিন মাছের রঙিন স্বপ্ন নিয়ে সঞ্চিতার পথচলা।
কারিগরী ও আর্থিক সহযোগিতায় কেউ ছিল না তার পাশে। হঠাৎ পাশেই দেখতে পায় ”হীড বাংলাদেশ” সংস্থার শতাধিক চাষীদের উপস্থিতিতে মাঠ দিবস। প্রধান অতিথি সিলেট-০২ এরিয়ার এলাকা ব্যবস্থাপক জনাব নুরুর রহমান সংস্থার সদস্যদের সকল সুযোগ সুবিধা চুল ছেড়া বিশ্লেষন করেন।
সদস্যরা ঋণের পাশাপাশি অফেরতযোগ্য (সোনালী, হিলি, টার্কি, কাদাকনাথ, লেয়ার, কালার ব্রয়লার) মুরগী পালন প্রকল্প, (খাকী ক্যাম্বল, জিংডিং, পেকিং) হাঁস পালন প্রকল্প, ধান সহ বিভিন্ন সবজি চাষ প্রকল্প,(মাল্টা,আম,লিচু,লেবু)সহ যে কোন ফল বাগান প্রকল্প,এছাড়াও বিভিন্ন জাতের রেনু,মাছ চাষ প্রকল্পের সুবিধা পাবে। আলোচনা শোনে সদস্য সঞ্চিতা কর্মকার স্বল্প পরিসরে বিকল্প আয়ের পথ হিসেবে বাহারি (রঙিন) মাছ চাষের সিদ্ধান্ত নেয় ।
আধুনিক যুগে বাঙ্গালীর পেটে ভাত না থাকলেও বিলাসিতায় এক ধাপ এগিয়ে। অভাবের সংসারে স্বপ্ন বাস্তবায়নে যেন পিছুটান লেগেই আছে। সে হীড বাংলাদেশ সংস্থার সদস্য হিসেবে ভর্তি হয়ে যায়। আর্থিক ও কারিগরী সহযোগীতায় একধাপ এগিয়ে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত বে-সরকারী উন্নয়ন সংস্থা ”হীড বাংলাদেশ”।
সঞ্চিতা কর্মকার প্রথম দফায় ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে শুরু করে প্রকল্পের কাজ। প্রাপ্ত বয়স্ক বাহারি (রঙিন) মাছ ক্রয় করে প্রতিটি ২০০ টাকা । কিছুদিনের মধ্যেই মাছের পেট থেকে অগনিত ডিম প্রসব । বর্তমানে ডিচ পদ্ধতিতে মা মাছগুলি সংরক্ষিত। প্রকল্পটি ঘের ও ডিচ পদ্ধতিতে হওয়ায় দর্শনার্থীদের আগমন। কিছুদিনের মধ্যে পোনা বাজার জাত করবে এবং লক্ষাধিক টাকার পোনা বিক্রি হবে বলে অভিমত ও সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে