ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ভেড়ামারায় ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিএনপির লিফলেট বিতরণ ভেড়ামারায় বিএনপি  ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভেড়ামারা বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদযাপন গোদাগাড়ীতে জোরপূর্বক বাড়ী দখলের চেষ্টা ভেড়ামারায় মা সমাবেশ ও ফ্রি ক্লাসের উদ্ধোধন বোয়ালমারীতে মোটরসাইকেলকে বাসের ধাক্কা  কলেজ শিক্ষার্থী নিহত কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিয়ে বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি, লুটে নেওয়া হয়েছে ৫ লক্ষ টাকার মালামাল দৌলতপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই চারটি বাড়ি, ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি দৌলতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, স্ত্রী ও সন্তানসহ আহত ৩ দৌলতপুরে শিক্ষক ধর্মঘট, পুলিশ-আমলাদের সন্তানদের পাঠদান না করার ঘোষণা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাঠালের বাম্পার ফলন,

মো :আশিকুর রহমান রনি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে প্রতিবছরের ন‍্যায় এবার ও কাঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে চাষীরা বলেন ফলন ভালো হলেও দাম পাওয়া নিয়ে ভাবছেন। এখানকার
কাঁঠাল মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় দেশজুড়ে রয়েছে বিশেষ কদর।

বিজয়নগর উপজেলায় নরম, রসালো ও চাওলা এই তিন ধরনের কাঠাল চাষ করা হয়। উপজেলার কালাছড়া, বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, খাটিঙ্গা, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, চম্পকনগর, মেরাশানী, কামালমোড়া, নুরপুর, কাশিমপুর, হরষপুর, ধোরানাল, মুকুন্দপুর, সেজামুড়া, নোয়াগা ও পত্তন এলাকায় রয়েছে প্রায় চার শতাধিক কাঁঠাল বাগান। চলতি বছর এই উপজেলায় ২০০
হেক্টর জমিতে জমিতে কাঠাল চাষ করা হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার প্রায় প্রত‍্যকেটি বাড়ীতে রয়েছে ৮থ১০ টি কাঁঠাল গাছ। বিজয়নগর উপজেলায় সবচেয়ে বড় কাঁঠালের বাজার বসে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কাংকাইড়া বাজার, সিংগারবিল ইউনিয়নের মেরাশানি বাজার ও পাহাড়পোর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজার। এছাড়া ও উপজেলার মুকুন্দপুর, চম্পকনগর, ছতরপুর বাজারে পাইকারি ভাবে কাঁঠাল বেচা
কেনা করা হয়।

এই সব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নরসিংদী, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, মৌলভী বাজার, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার
ব‍্যবসায়িরা প্রতিদিন কাঠাল কিনে বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে যাচ্ছে। এলাকা বাসী জানান গভীর রাত থেকেই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চাষিরা কাঠাল নিয়ে আসে।

সে সব বাজার থেকে ক্রেতারা বিভিন্ন যানবাহনে করে কাঁঠাল দেশের
বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যায়। এলাকা বাসী আর ও জানান শুধু মাত্র কাংকাইরা বাজার, আওলিয়া বাজার ও মেরাশানী বাজারেই প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ টাকার কাঁঠাল বিক্রী হয়। কাঁঠাল চাষীরা জানায় মার্চ মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত কাঁঠাল বাগানের পরিচর্যা করা হয়।

এই বছর ও অন‍্যান‍্য বছরের মতো ফলন ভালো হয়েছে । বড় সাইজের
প্রতি ১০০ কাঁঠাল ১০ হাজার টাকা দরে পাইকারী বাজারে বাক্রী হচ্ছে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কাঁঠাল বাগানের মালিক জামাল মিয়া বলেন, এ বছর বাগানের ১০০শত কাঁঠাল ৭থ৮ হাজার টাকা করেপাইকারী বিক্রী করছি। উপজেলার কালাছড়ার কাঠাল ব‍্যবসায়ী কাঞ্চন আলী, লোকমান হোসেন, ছতর পুরের রুস্তম আলী,লিয়াকত আলী বলেন আমরা এই বছর প্রতি হাজার ৮০/৯০ হাজার টাকা দরে কিনে ১ লক্ষ ১লক্ষ ১০ হাজার টাকা
বিক্রী করি।

উপজেলার ছতরপুর গ্রামের রাসেদ মিয়া বলেন আমরা প্রতি হাজার কাঠাল
৮০/৮৫ হাজার টাকায় কিনে ১লক্ষ ১লক্ষ ১০হাজার টাকা বাজারেই বিক্রী করি। বিষ্ণুপুর গ্রামের কাঁঠাল বাগানের মালিক হাজী মো: ফারুক মিয়া জানান কাঁঠাল মৌসুমে অনেকেই মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে বাগান পরিচর্যা করি। তাই বিক্রীর লাভের একাংশ মহাজনদের পকেটে চলে যায়। সরকারি ভাবে কৃষিঋনের ব‍্যবস্থা করলে আমাদের জন‍্য অনেক ভালো হতো।

এব‍্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহের নিগার বলেন
এ ব‍্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন এ বছর ৯৪৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের আবাদ করা হয়। তাতে ছোট বড় প্রায় ৪২৫টি বাগান আছে। প্রতি কাঠারের ওজন ২-৯ কেজি পর্যন্ত ধরে ফলনের আবাদ ১০৩৯৫ মে:টন। প্রতি মে:টন ২০ হাজার টাকা হিসাবে প্রায় ২৫ কোটি টাকার কাঠাল বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

এব্যাপারে কাঠাল চাষিদের সাথে বিভিন্ন মাঠ বৈঠক, প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে উপজেলা পর্যায়ে সকল কৃষি কর্মকর্তারা ফলন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সহযোগিতা করছেন। আর এই অঞ্চলে নরম চাউলা ও রসালো এই তিন ধরনের কাঁঠাল চাষ হয়। তাই এই বছর কাঁঠাল বিক্রী প্রায় ২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে বলে মনে আসা করছে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিএনপির লিফলেট বিতরণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাঠালের বাম্পার ফলন,

আপডেট টাইম : ০৪:৫৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১

মো :আশিকুর রহমান রনি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে প্রতিবছরের ন‍্যায় এবার ও কাঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে চাষীরা বলেন ফলন ভালো হলেও দাম পাওয়া নিয়ে ভাবছেন। এখানকার
কাঁঠাল মিষ্টি ও রসালো হওয়ায় দেশজুড়ে রয়েছে বিশেষ কদর।

বিজয়নগর উপজেলায় নরম, রসালো ও চাওলা এই তিন ধরনের কাঠাল চাষ করা হয়। উপজেলার কালাছড়া, বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, খাটিঙ্গা, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, চম্পকনগর, মেরাশানী, কামালমোড়া, নুরপুর, কাশিমপুর, হরষপুর, ধোরানাল, মুকুন্দপুর, সেজামুড়া, নোয়াগা ও পত্তন এলাকায় রয়েছে প্রায় চার শতাধিক কাঁঠাল বাগান। চলতি বছর এই উপজেলায় ২০০
হেক্টর জমিতে জমিতে কাঠাল চাষ করা হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার প্রায় প্রত‍্যকেটি বাড়ীতে রয়েছে ৮থ১০ টি কাঁঠাল গাছ। বিজয়নগর উপজেলায় সবচেয়ে বড় কাঁঠালের বাজার বসে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কাংকাইড়া বাজার, সিংগারবিল ইউনিয়নের মেরাশানি বাজার ও পাহাড়পোর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজার। এছাড়া ও উপজেলার মুকুন্দপুর, চম্পকনগর, ছতরপুর বাজারে পাইকারি ভাবে কাঁঠাল বেচা
কেনা করা হয়।

এই সব বাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নরসিংদী, সিলেট, শ্রীমঙ্গল, মৌলভী বাজার, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার
ব‍্যবসায়িরা প্রতিদিন কাঠাল কিনে বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে যাচ্ছে। এলাকা বাসী জানান গভীর রাত থেকেই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চাষিরা কাঠাল নিয়ে আসে।

সে সব বাজার থেকে ক্রেতারা বিভিন্ন যানবাহনে করে কাঁঠাল দেশের
বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যায়। এলাকা বাসী আর ও জানান শুধু মাত্র কাংকাইরা বাজার, আওলিয়া বাজার ও মেরাশানী বাজারেই প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ টাকার কাঁঠাল বিক্রী হয়। কাঁঠাল চাষীরা জানায় মার্চ মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত কাঁঠাল বাগানের পরিচর্যা করা হয়।

এই বছর ও অন‍্যান‍্য বছরের মতো ফলন ভালো হয়েছে । বড় সাইজের
প্রতি ১০০ কাঁঠাল ১০ হাজার টাকা দরে পাইকারী বাজারে বাক্রী হচ্ছে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কাঁঠাল বাগানের মালিক জামাল মিয়া বলেন, এ বছর বাগানের ১০০শত কাঁঠাল ৭থ৮ হাজার টাকা করেপাইকারী বিক্রী করছি। উপজেলার কালাছড়ার কাঠাল ব‍্যবসায়ী কাঞ্চন আলী, লোকমান হোসেন, ছতর পুরের রুস্তম আলী,লিয়াকত আলী বলেন আমরা এই বছর প্রতি হাজার ৮০/৯০ হাজার টাকা দরে কিনে ১ লক্ষ ১লক্ষ ১০ হাজার টাকা
বিক্রী করি।

উপজেলার ছতরপুর গ্রামের রাসেদ মিয়া বলেন আমরা প্রতি হাজার কাঠাল
৮০/৮৫ হাজার টাকায় কিনে ১লক্ষ ১লক্ষ ১০হাজার টাকা বাজারেই বিক্রী করি। বিষ্ণুপুর গ্রামের কাঁঠাল বাগানের মালিক হাজী মো: ফারুক মিয়া জানান কাঁঠাল মৌসুমে অনেকেই মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে বাগান পরিচর্যা করি। তাই বিক্রীর লাভের একাংশ মহাজনদের পকেটে চলে যায়। সরকারি ভাবে কৃষিঋনের ব‍্যবস্থা করলে আমাদের জন‍্য অনেক ভালো হতো।

এব‍্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহের নিগার বলেন
এ ব‍্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার বলেন এ বছর ৯৪৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের আবাদ করা হয়। তাতে ছোট বড় প্রায় ৪২৫টি বাগান আছে। প্রতি কাঠারের ওজন ২-৯ কেজি পর্যন্ত ধরে ফলনের আবাদ ১০৩৯৫ মে:টন। প্রতি মে:টন ২০ হাজার টাকা হিসাবে প্রায় ২৫ কোটি টাকার কাঠাল বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

এব্যাপারে কাঠাল চাষিদের সাথে বিভিন্ন মাঠ বৈঠক, প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে উপজেলা পর্যায়ে সকল কৃষি কর্মকর্তারা ফলন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সহযোগিতা করছেন। আর এই অঞ্চলে নরম চাউলা ও রসালো এই তিন ধরনের কাঁঠাল চাষ হয়। তাই এই বছর কাঁঠাল বিক্রী প্রায় ২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে বলে মনে আসা করছে।