দশমিনা মাদ্রাসায়
বাবাকে সভাপতি করার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল
দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বাবাকে সভপতি কারার জন্য শিক্ষক(ছেলে) মোঃ কামাল মেলকারের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে গোপন ভাবে নিজের বাবা মোঃ আবদুল লতিফ মেলকারকে ম্যানেজিং কমিটির পূর্নাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি নির্বাচন করেন। স্বাক্ষর জাল করার কথা শিক্ষা কর্মকর্তা নিজেই নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত জুন মাসে উপজেলার পূর্ব আলীপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার বিএসসি শিক্ষক মোঃ কামাল মেলকার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে মাদ্রাসা বোর্ড থেকে গোপনে তার বাবা আবদুল লতিফ মেলকারকে ম্যাজেনিং কমিটির সভাপতি করেন। মাদ্রাসায় বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন তাই ওই শিক্ষক অবৈধ টাকা হাতিয়ে নেয়ার লোভে গোপনে তার বাবাকে সভাপতি করেন। এই খবর এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের মাঝে জানাজানি হলে এলাকায় হট্রোগোল তৈরি হয়। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এবং অবৈধ কমিটি রক্ষায় কামাল মেলকার অভিযোগ কারির সাথে সমজতার জন্য দফায় দফায় বৈঠকের প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে গোপনে কমিটি করায় এবং অবৈধ ভাবে লাভবান হওয়ার পায়তারা এবং কমিটি বাতিল ও জালজালিয়াতির আশ্রয় নেয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরার অভিযোগ আনায়ন করে ওই এলাকার কুদ্দুস সরদার নামের এক ব্যক্তি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন।
অভিযোগ অস্বিকার করে কামাল মেলকার বলেন, আমি কোন স্বাক্ষর জাল করিনি। সঠিক নিয়ম মেনে কমিটি করা হয়েছে। এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন আজকের পত্রিকা প্রতিনিধি কে জানান, ওই কমিটিতে আমার স্বাক্ষর জাল করেছে তাহার প্রাথমিক সত্যতা মেলে। এ বিষয়ে আরো অধিকতর তথ্য উপাত্থ্য দরকার আছে। এর সাথে আরো কেহ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জল করে কমিটি করার অভিযোগ পেয়েছি। তিন সদস্য তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।