মানজারুল ইসলাম খোকন: কুষ্টিয়া দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় ১০ – ১২ বিঘা পান বরজ পুড়ে শেষ হলো কৃষকের স্বপ্ন।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলা ধর্মদহ ব্রিজ পাড়ায় মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে ১০ থেকে ১২ বিঘা পানের বরজ পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী ও পান চাষিরা জানান, শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ পান বরজে আগুন দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করে তবে রোদ্রের প্রচন্ড তাপ ও আগুনের প্রচন্ড বেগ থাকায় এলাকাবাসীর ব্যার্থ হয়। পরক্ষণ আগুনের বেগতিক দেখে এলাকাবাসী মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফোন দিলে দ্রুত ঘটনাস্থানে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে ১০ জন চাষির প্রায়ই ১০-১২ বিঘা পানের বরজ আগুনে পুয়ে ছাই হয়ে যায়।
পান চাষিরা হলেন গাংনী উপজেলা কাজিপুর গ্রামের নাড়ুর ছেলে তোজাম্মেল হক ও মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে আক্তার হোসেন। দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের মৃত খবির উদ্দীনের ছেলে পল্টু ও মঙ্গল , মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সোনারুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, জিয়ারুল ইসলাম ও ইয়ারুল ইসলাম, একই এলাকার আনারুলের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, মৃতজান বক্সের ছেলে মানিক হোসেন।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলার বামুন্দি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন অফিসার মোঃ ইসাহাক আলী বিশ্বাস জানান, দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ ব্রিজপাড়ায় ১০-১২ বিঘা পান এর বরজ পুড়ে গেছে। এলাকাবাসীর ফোন কলে আমরা জানতে পেয়ে দ্রæত ঘটনা স্থলে উপস্থিত হই, বৈশাখে রৌদ্রের তাপ ও বৃৃষ্টি না হওয়ার কারণে আগুন দ্রæত চারিপাশে ছড়িয়ে পড়লেও আমরা আধা ঘন্টা সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে এরই মধ্যে ১০-১২ বিগা পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, এই পানের বরজের অবশিষ্ট কিছুই নেই, এতে পান চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বিড়ি/সিগারেটে আগুন থেকেই পান বরজে আগুনের সুত্রপাত।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, উপজেলা ভিত্বিক কুষ্টিয়ায় সব উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু হলেও দৌলতপুর উপজেলাতে এখনো কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু হয়নি, তবে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু করার দাবি জানান এলাকাবাসী।