প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক
হেলাল মজুমদার কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় হালিমা বেগম একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বিরুদ্ধে কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দুর্নীতির মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
৭ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় ভেড়ামারা বামন পাড়ার তার নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমি মোঃ শফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক হালিমা বেগম একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তদন্ত শিরোনামের কয়েকটি পত্রিকায় যে সকল সংবাদ প্রকাশিত হয়। তা মিথ্যা ও বানোয়াট এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে অভিহিত। আমার বিরুদ্ধে গত ২৮/০২/২০২৪ ইং তারিখে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চিঠির আলোকে হয় গত ২৭/০৩/২০২৪ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক তদন্ত কার্য পরিচালনা করা হয়। যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক তদেেন্ত ২৮/০৮/২০২৪ ইং তারিখে আমার বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগের বিপরীতে কোন নির্দিষ্ট ক্রমিক অনুসারে আর্থিক অনিয়ম নেই। উক্ত তদন্ত রিপোর্টে আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অর্থ লোপাটের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাই নাই। গত ০৭/০৮/২০২৪ ইং তারিখে আমার বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা আমার অফিসে সুপার গ্লু দিয়ে তালা আটকায় এবং বাহিরের সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলেন এবং আমার নিকট থেকে শিক্ষক হাজিরা খাতা জোর পূর্বক কেড়ে নেই। সেই দিনই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আমি বিষয় লিখিত ভাবে অবহিত করি। গত ২০/০৮/২০২৪ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করে এবং উপজেলা নিবাহী অফিসার সহ অন্যান্য কর্মকতা বিদ্যালয়ে আসেন তখন অফিস কক্ষে এক বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ সহ সবার উপস্থিতিতে আমাকে সবার সম্মতিতে ছুটি দেয়এবং অফিস পরিচালনার জন্য ধর্মীয় শিক্ষক জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ২১/০৮/২০২৪ ইং তারিখে আমার অফিসের তালা ভেঙ্গে অফিসে ঢুকে জুরুরী কাগজপত্র সহ অন্যান্য প্রমানাদি নষ্ট করে যা আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করি। অতঃপর বৈষিক পরিবেশ পরিস্থিতিতে আমাকে ক্রমান্বয়ে ২২/০৮/২০২৪ হইতে ২২/০৯/২০২৪, ২৪/০৯/২০২৪ হইতে ৩০/১০/২০২৪, ০১/১১/২০২৪ হইতে ৩০/১১/২০২৪, ০১/১২/২০২৪ হইতে ১৫/১২/২০২৪, ১৭/১২/২০২৪ হইতে ৩০/১২/২০২৪, ০১/০১/২০২৫, ১৫/০১/২০২৫ তারিখ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছুটি প্রদান করেন। আমার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। যাহা যশোর শিক্ষাবোর্ডের আমার বিরুদ্ধে চলা তদন্তের কোন রিপোর্টে উল্লেখ হয় নাই। শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করার ক্ষমতা এনটিআসিএ এবং ম্যানেজিং কমিটি বহন করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগ ম্যানেজিং কমিটি দিয়ে থাকে। উপবৃত্তি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা হয়। হালিমা বেগম একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি টিউশন ফি প্রথম কিস্তিতে ১৮,০০০/- (আঠারো হাজার) টাকা। সহকারী শিক্ষক জনাব মোঃ ইলিয়াস হোসেন খান বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা নিয়োগ প্রাপ্ত তারপরেও তিনি অনিয়মিত ছিলেন। যা ম্যানেজিং কমিটি অনেবার সতর্ক করেন। মোঃ সিরাজুল ইসলাম বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হয়েও ট্রাস্টের কমিটি সদস্য থাকায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে দ্বিমত সৃষ্টি হয়।
এই সমস্ত ঘটনার কারণে আমার বিরুদ্ধে তারা অনেক সময় ধরে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার করে আসছে।
ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক 



















