রাজশাহী ব্যুরো: পবিত্র মাহে রমজান ও ইদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের সকল সরকারি এবং আধা-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ রয়েছে, তখনও স্কুল খোলা রেখেছে সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজ। এই নিয়ে আন্দোলনে রাস্তায় নামে রাজশাহীস্থ সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টার পর রাজশাহী মহানগরীর উপশহর ২নং সেক্টরে অবস্থিত সৃস্টি সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা ছুটি ও ক্লাশ পরিক্ষা বন্ধের জন্য আন্দোলন করে। আন্দোলনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানায়, সারাদেশে যখন সকল স্কুল প্রতিষ্ঠান বন্ধ, তখনও সৃষ্টি স্কুল এন্ড কলেজ খোলা রয়েছে। এতে তারা পড়াশোনায় চরমভাবে মানষিক বিভ্রান্তিতে পড়ছে। তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট পবিত্র মাহে রমজান ও ইদুল ফিতরের ঈদ উপলক্ষে ছুটির দাবী জানায়। অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ছুটি ঘোষনা করতে বাধ্য হয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে ছুটি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা। কারন ছুটির নির্ধারিত কোন দিন (সংখ্যা) ঘোষনা করেনি প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ কতদিনের ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে তা জানানো হয়নি।
এদিকে ছুটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অবিভাবকরা। তারা বলছেন, যেহেতু এটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান তাই আমরা পুর্ন ক্লাশ চাই। অর্থাৎ আমরা এতদিন আগে ছুটি চাই না। আবার কিছু অবিভাবক বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছে এর আগে মাত্র ৭ দিন ক্লাশ করিয়ে ছুটি ঘোষনা করেছিল। অর্থাৎ ক্লাশ না করিয়ে পুরো মাসের বেতন নিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এবারও এরকমটা করতে পারে, তাই এবার বেতন নেওয়ার আগেই শিক্ষার্থীরা ছুটির জন্য আন্দোলন করছে এবং সেটি স্কুল কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে মব করছে, এটি করা ঠিক হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ঐ অবিভাবক জানান, আন্দোলন মানে চিৎকার চেচামেচি, রাস্তায় আন্দোলন করে থাকে। সেই অনুযায়ী, তারা এখন পর্যন্ত রাস্তায় শান্তিপুর্ণ আন্দোলন করছে।
পরে সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজ রাজশাহীর অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এই প্রতিষ্ঠানটি বেসরকারি বা প্রাইভেট, তাই আমরা শিক্ষার্থীদের বাড়তি কেয়ার করে থাকি। তারা ছুটি ও ক্লাশ পরিক্ষা বন্ধ চেয়েছে আমরা সেটি মেনে নিয়েছি।
সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে, আপনার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়নি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এখানে সবাই টাকা খরচ করে পড়াশোনা করে তাই সরকারি প্রতিষ্ঠানের থেকে বেশি ক্লাশ ও কেয়ার করা লাগে। নাহলে আমার প্রতিষ্ঠানে কেন ভর্তি করাবে? এই প্রতিষ্ঠান সরকার অনুমোদিত কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, না। এই প্রতিষ্ঠানকে সরকার এখন পর্যন্ত অনুমোদন দেয়নি। আমরা আবেদন করেছি, সরকার কবে অনুমোদন দিবে জানিনা। এসময় অধ্যক্ষের নিকট কত দিনের ছুটি ঘোষনা করেছেন জানতে চাইলে তিনি সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।