বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরেনারি হাসপাতালের ব্যাবস্হাপনায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ জুন) দুপুরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস চত্তরে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী করোনা জন্য সংক্ষিপ্ত ভাবে চলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা চামেলী সভাপতিত্বে লাল ফিতা কেটে প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনী-২১ এর উদ্ভোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের ঘোষনা দেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ লায়েব উদ্দিন লাভলু,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা চামেলী, কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান,মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম,প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃআমিনুল ইসলাম,ভেটেনারী সার্জন রোকনুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল,যুগ্ন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্টু,আওয়ামীলীগ সদস্য মাসুদ রানা তিলুসহ গরু ছাগল খামারী এবং পশু অফিসের অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ।
উপস্থিতদের মধ্য বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা: আমিনুল ইসলাম, ভেটেরেনারী সার্জন ডা:রোকনুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল,উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃলায়েব উদ্দিন লাভলু।
এই প্রদর্শনীতে ২২ টি স্টল বসে।১৫টি স্টলে বিভিন্ন জাতের গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী ও বিভিন্ন ধরনের পাখি প্রদর্শনী করা হবে।
এ বিষয়ে ভেটেরেনারী সার্জন ডা: রোকনুজ্জামান বলেন, দেশে বিভিন্ন জাতের পশু পালন বিষয়ে আমরা ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছি। হাঁস-মুরগীর ডিম উৎপাদনে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। দুধ উৎপাদনেও প্রায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে।
তাই প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর মাধ্যমে এই বাঘা উপজেলা অঞ্চলের মানুষ যাতে উন্নত প্রজাতির পশু ও পাখি লালন-পালনে উদ্বুদ্ধ হয় এবং এর সুফল জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।চকরাজাপুর চর এলাকাতেও প্রায় ২হাজার ২শতটির বেশী মহিষ পালন করা হয়।যা আমরা এই পশু অফিস হতে সার্ভিক চিকিৎসা প্রদান করে থাকি সব সময়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা চামেলী বলেন, এই এলাকার মানুষ যাতে উন্নত জাতের গরু-ছাগল হাঁস মুরগী আরো বেশি লালন-পালন করতে পারে এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।বাংলাদেশ সরকার দেশে ব্যপক উন্নতি ঘটিয়েছে।
কৃষি সেক্টরেও অনেক উন্নয়ন সহ প্রাণীসম্পদে উন্নয়নের ধারা চলমান রাখতে সরকার বিভিন্নভাবে জনগণকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। প্রাণিসম্পদের এই প্রদর্শনী পশুপালনে জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশা করছি।