এম এ ওয়াহিদ রুলু, কমলগঞ্জ থেকেঃ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী কমলগঞ্জের জ্যোতি সিনহা আজ দীপার সবকিছু ভালো লাগছে’। এশিয়ান শর্টফিল্ম ও সেরা ওম্যানস শর্টফিল্ম নির্বাচিত হয়েছে চলচিত্রটি। ইন্দো-সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরার পুরস্কার পেলো বাংলাদেশের এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। জুরি বোর্ডের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর সম্মানও অর্জন করেছেন এই চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী জ্যোতি সিনহা।
অভিনেত্রী ” জ্যোতি সিনহা ” রক্তে শিল্পসত্তা বহমান। মণিপুরী থিয়েটারে নাট্যপথেই যাত্রা শুরু করে জীবন সম্পর্কে তার ধারণা বদলে যেতে শুরু করে। তার কাছে নাটক শুধু বিনোদন নয়,সত্য – সংগ্রামের হাতিয়ার হয়ে উঠে।
জ্যোতি সিনহা মঞ্চ নাটককে এতটাই ভালোবেসে ফেলেল, যতইদিন যাচ্ছে, নিজেকে মঞ্চ নাটকের সঙ্গে আরও বেশি করে জড়িয়ে নিয়েছেন। বলা যেতে পারে নাটকের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক তৈরি করে নিয়েছেন। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস সবই নাটক, থিয়েটার। থিয়েটারের ভালোই তার ভালো থাকা। ব্যক্তিজীবনের ভালো লাগা বা খারাপ লাগা নিয়ে কখনও ভাবেন -নি। তার ভাবনায় নাটক,থিয়েটার, অভিনয়।
বেশ কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। অভিনয় দক্ষতা তার এক কথায় অসাধারণ। বিশেষ করে মঞ্চ নাটকে তার যে অভিনয় দক্ষতা,যারাই দেখেছেন মুগ্ধ হয়েছেন। সে মঞ্চ নাটকের এক অসামান্য অভিনেত্রী। তার অভিনয় দক্ষতার রূপকার লেখক – নাট্যকার, নাট্যনির্দেশক শুভাশিস সিনহা। দেশের প্রান্তিক জনপদ কমলগঞ্জের ঘোড়ামারা গ্রামেই মণিপুরী থিয়েটারের নাট্যকর্মী হয়েই অভিনয়ের সুচনা।
জ্যোতি সিনহার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর সম্মানও অর্জন করায় আনন্দিত মণিপুরী থিয়েটার, আনন্দিত কমলগঞ্জবাসী। জ্যোতি সিনহা তার স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, নাট্যপ্রেমী, দর্শক ও আলোচকরা তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
চলচ্চিত্রটির নির্মাতা শুভাশিস সিনহা। ধর্ষণ একটি মেয়ের জীবনে কী বিপর্যয় তৈরি করতে পারে, তার এক অভিনব রূপায়ণ নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আজ দীপার সবকিছু ভালো লাগছে। দীপার চরিত্রে অভিনয় করছেন মঞ্চের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতি সিনহা।
সিনেমাটির গল্প-চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন শুভাশিস সিনহা। সম্প্রতি ইন্দো-সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে সিনেমাটি ৩টি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। সেরা এশিয়ান শর্টফিল্ম, সেরা ওম্যান’স শর্টফিল্ম এবং সিনেমাটির অভিনেত্রী জ্যোতি সিনহা পেয়েছেন জুরি বোর্ডের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার। উৎসবে বিশ্বের নানান দেশের ৭০টি সিনেমা প্রদর্শিত হয়। আগামী জানুয়ারিতে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রদর্শিত হবে ছবিটি।