মাজহারুল ইসলাম চপল, ব্যুরো চীফঃ চাঁদার টাকা দাবি ও ক্ষমতার দাপট নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে ভাংচুর, লুটপাট ও আওয়ামীলীগের পাটি অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে রাজশাহী নগরীর কয়েরদাঁড়া খ্রিস্টানপাড়া মোড়ে।
ঘটনা ও এলাকাসূত্রে জানাযায়, প্রায় পনের দিন আগে কয়েরদাঁড়া এলাকায় রাস্তা ছাড়াছাড়ি কে কেন্দ্র হট্টোগোল বাধে ডিম বিক্রেতা ফিরোজের সাথে। পরে ফিরোজ ঝামেলা এড়াতে এলাকার ছেলেদের সম্মানি স্বরুপ বিশ হাজার টাকা দেয়।
এই টাকার ভাগাভাগির দায়িত্ব পড়ে এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য রবিউল ইসলাম (৫০) এর উপর। উক্ত টাকার ভাগ নিতে ছুটে আসে পাশের এলাকার (মালদাহ কলোনি) সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিলু ও তার বাহিনী।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পরে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং রবিউলকে মারধর করে মিলু বাহিনী। এই ঘটনায় রবিউল গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে রবিউলের স্ত্রী বাদি হয়ে মামলা করতে যায় নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায়। কিন্তু থানা ইনচার্জ মামলা না নিয়ে অভিযোগ হিসেবে আমলে নেয়। থানায় অভিযোগ করায় আরও হিংস্র হয়ে উঠে মিলু বাহিনী। সেই ঘটনার জের ধরে আবারও মাজারের চাঁদা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা বাধে। ৪ মার্চ মিলু বাহিনী টাকা নিতে রবিউলের বাসায় হাজির হয়।
টাকা দিতে অস্বিকার করলে ভাংচুর করে রবিউলের বাসা। আবারও রবিউলের স্ত্রী বাদি হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করতে যায়। এবারও থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে অভিযোগ নেয়। মিলু বাহিনী উত্তপ্ত হয়ে ৫ মার্চ রাত ৮.০০ টার সময় দেশিও অস্ত্র, বোমা ও দলবল নিয়ে হামলা ও লুটপাট করে রবিউলের বাড়ি সহ মোড়ের বেশ কয়েকটি দোকানপাট। এতে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ক্ষতির মুখে পড়ে মোড়ের দোকানদার সহ রবিউল।
এই হামলায় বাদ যায়নি ভাজা বিক্রেতাও। ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও নিয়ন্ত্রনের বাইরে হওয়ায় পুলিশ নিরব ভুমিকা পালন করে। এবং পুলিশের মটর সাইকেল ভাংচুর করে। এরপর আরও পুলিশ ও মিডিয়া কর্মীরা আসে। সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি মুদিখানার দোকান, একটি ভাজার দোকান, একটি টাইলস্ এর শো-রুম ও আওয়ামী লীগের পাটি অফিস আগুন ও ভাংচুর করে মিলু বাহিনী।
ঘটনার ছবি ও তথ্য নিতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে জাতীয় দৈনিক গনমুক্তির ব্যুরো চীফ মাজহারুল ইসলাম চপল। বাধা ও ধাক্কা দেয় বোয়ালিয়া মডেল থানার এএসআই শরিফুল ইসলাম। এঘটনায় রাজশাহীর কর্মরত সাংবাদিক ও রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
পরে বাধ্য হয়ে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে বাধ্য হয়। মামলা নাম্বার ২২/২১। এবিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিবারণ চন্দ্র বর্মন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মামলা হয়েছে, আসামী গ্রেফতাররে জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। আসামী যেই হোকনা কেন, কোন ছাড় পাবেনা। এ রিপোর্টর লিখা পর্যন্ত দুই জন আসামী আটক করা হয়েছে।