1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাদাম বিক্রেতা, দায়িত্ব নিলেন সাংসদ নূর - dailynewsbangla
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বাঘায় নারীর লাশ উদ্ধার! পলাতক মেয়ের জামাই নওগাঁয় প্রচন্ড গরমে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়া সর্দি জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা  দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ নাগরপুরে আগুন দিয়ে বাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা  আত্রাইয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের পরিদর্শন স্যালাইন পানি  নিয়ে পথচারী ও ভ্যান শ্রমিকদের পাশে চেয়ারম্যান প্রার্থী লিটু শরীফ নওগাঁয় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  বগুড়া আদমদীঘিতে উপজেলা নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা বাঘা উপজেলার কাদিরপুর উচ্চ বিদ‍্যালয় মাঠে বৃষ্টির জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায়

চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাদাম বিক্রেতা, দায়িত্ব নিলেন সাংসদ নূর

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১
বাদাম বিক্রির পথ বেছে নেন নীলফামারীর সদর উপজেলার গোড়গ্রাম নিজপাড়া এলাকার লতা রায়।

চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে লতা রায় বাদাম বিক্রেতা, দায়িত্ব নিলেন সাংসদ নূর


রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে একজন মেয়ে হয়েও বাদাম বিক্রির পথ বেছে নেন নীলফামারীর সদর উপজেলার গোড়গ্রাম নিজপাড়া এলাকার লতা রায় (২০)। কিন্তু বাদাম বিক্রির সেই পথকে আর বেশি দিন আঁকড়ে ধরে থাকতে হলনা তাকে।

সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারীর সদর আসনের সাংসদ আসাদুজ্জমান নূর মেয়েটির স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে এলেন। সাংসদ দায়িত্ব নেয়ায় এখন দুশ্চিন্তামুক্ত মা হারা অসহায় ও অদম্য মেধাবী ওই শিক্ষার্থী। সংগ্রামী লতা রায় নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে এবছর বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসিতে পেয়েছে এ-প্লাস।

তার বাবা জগেন রায় একজন দিনমজুর। কাজ করেন ইটভাটায়। ছোট বেলায় তার মা চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সৎ মায়ের মাঝে বেড়ে ওঠা তার। এইচএসসি রেজাল্ট হাতে পাওয়ার পর ডাক্তার হওয়ার আশা বুকে নিয়ে মানুষ মানুষের জন্য নামে ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় ঢাকায় ৩ মাস কোচিং চালিয়ে যায় লতা রায়।

ফাউন্ডেশনের দেওয়া টাকায় ঢাকায় কোন রকম দিন চলছিল তার। সেখানে এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। ফিরে আসে গ্রামের বাড়িতে। বাড়িতে অভাবের সংসারে এসে তার ওষুধ কিনতে ব্যর্থ হয় দিনমজুর বাবা। আত্মীয়-স্বজন সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়। নিজেকে নিয়ে পড়ে সে মহাদুশ্চিন্তায়। কি করবে ভেবে উঠতে পাচ্ছিলনা সে। তাই বাধ্য হয়ে সংসার ও নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অর্থ জোগাতে রাস্তায় নেমেছিল বাদাম বিক্রি করতে।

সে যে প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা করেছে সেই প্রতিষ্ঠানে শুরু করে বাদাম বিক্রি।লোক চক্ষুর আড়ালে বাদাম বিক্রিতে নেমে তাকে পরিধান করতে হয় বোরখা। লতা রায়ের বাদাম বিক্রির বিষয়টি মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন স্থানীয় সংসদ ও সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। তিনি ঢাকায় থাকায় বিষয়টি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান ও জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক ইসরাত জাহান পল্লবীকে তার বিস্তারিত খোঁজ খবর নিতে লতার বাড়িতে পাঠান।

সেখানে আসাদুজ্জামান নুর মোবাইলে লতার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন এবং তার মাথার ব্যথার চিকিৎসা সহ লেখা-পড়া দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি তাৎক্ষনিকভাবে আর্থিক সহায়তাও দেন। সাংসদ নূর তার দায়িত্ব নেয়ায় আবেগ আপ্লুত হয়ে লতা বলেন, একটি বড় হতাশা থেকে মুক্তি পেলাম। আপনারা আমার জন্য প্রার্থনা করবেন আমি যেন ভর্তির সুযোগ পেয়ে একজন চিকিৎসক হতে পারি। চিকিৎসক হতে পারলে এলাকার গরীব দুখি মানুষজনের চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ