রেজা মাহমুদ,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধে নিয়ন্ত্রিত চলাচল। প্রথম দিন কিহছুটা কড়াকড়ি থাকলেও দ্বিতীয় দিনে রাস্তা এবং বাজার-ঘাটে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভীর।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে শহরে রীতিমত যানজট সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের তৎপরতাও ছিল না চোখে পড়ার মত। সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মোড়ে মোড়ে মানুষের আড্ডা,বাজারে অধিকাংশ দোকানের ঝাপ অর্ধেক খোলা রেখে চলছে বেচা-বিক্রি।
দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন। বিশেষ করে অটোরিকশা এবং সিএনজিতে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এদের মধ্যে আবার অনেকের আবার মুখে মাস্কও নেই। গোলাহাট এলাকার জেসমিন আরা নামের এক গৃহিনী তার ৮ বছরের ছেলেকে সাথে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন। তিনি বলেন রোজার মাস তাই কেনাকাটা করতে এসেছি।
সামনে ঈদ ছেলেটাকে সাথে এনেছি ওকে নতুন পোশক কিনে দিব তাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন,গতকাল দেখলাম রাস্তায় যানবাহনের প্রচন্ড ভীড়। তাই কি করি আমি অর্ধেক দোকান খুলে বেচা-বিক্রি করছি।
জানতে চাইলে সৈয়দপুরের প্রবীণ সাংবাদিক নজরুল ইসলাম “বর্জ্র আঁটুনি ফঁসকা গেড়ো” বলে সৈয়দপুরের লকডাউন সম্পর্কে মন্তব্য করেন। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান জানান,মানুষকে সচেতন করতে পুলিশ বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না আসার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।